সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
তিনি লিখেছিলেন, ’বাড়ি আমার ভাঙন ধরা অজয় নদীর বাঁকে, জল যেখানে সোহাগ ভরে স্থলকে ঘিরে রাখে। সামনে ধূসর বেলা জলচর এর মেলা
সূদুর গ্রামের ঘর দেখা যায় তরুলতার ফাঁকে।’
কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক এর লেখা ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কয়েকটি লাইন।
কবির সেই আমার বাড়ির পাশের মানুষগুলি চাইছেন কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক এর বসতবাড়িকে কেন্দ্র করে এলাকায় গড়ে উঠুক পর্যটন শিল্প। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক বাংলা সাহিত্যের এক বলিষ্ঠ নাম। একই সাথে এই গ্রামের রয়েছে একটি ঐতিহাসিক পরম্পরা। গ্রামের নাম কোগ্রাম হলেও এটি আসলে চন্ডীমঙ্গলের উল্লিখিত উজানী। বৈষ্ণব কবি লোচন দাস, পল্লী কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক এবং একান্নপীঠের অন্যতম উজানী মায়ের মন্দিরকে ঘিরে এলাকার মানুষরা চাইছেন, সরকার নজর দিক এখানের পর্যটন শিল্পে। পল্লী কবি হিসেবে কুমুদ রঞ্জন মল্লিক এর নাম বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে। তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অজয় নদ। কিছু দূরেই কুনুর নদী অজয় নদের উপর পড়েছে। সেই ত্রিভুজাকৃতি ভূমির মধ্যেই কবির বাড়ি। কোগ্রামের পল্লী এবং প্রকৃতি প্রেম তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে বারে বার। এলাকার বাসিন্দাদের আক্ষেপ, এই জায়গাটির ওপর প্রশাসনের নজর সে ভাবে না পড়ায় দুর্দশা ক্রমশই গ্রাস করছে। তার প্রধান কারণ অজয় এবং কুনুর এর সংযোগ স্থল হারিয়েছে তার পুরনো রূপ।
তাছাড়া ইটভাটা ও বালিরঘাট ক্রমশ গ্রাস করছে গ্রামটিকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন শিল্পের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই গ্রামের প্রতি এবং কবির বাড়িসহ ঐতিহাসিক জায়গাগুলিকে তিনি যদি রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় এনে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন, তাহলে একদিকে যেমন কবির প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন হবে অন্যদিকে এলাকার যুবক সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানেরও একটি দিশা দেখা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ লোধা শবর আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584