শান্তনু পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
লকডাউনের জেরে স্তব্ধ জনজীবন। তার সাথে বন্ধ রয়েছে সমস্ত দোকানপাট। যার ফলে শিকেয় উঠেছে ব্যবসা। আর এহেন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রঙিন মাছ ব্যবসায়ীরা। জানা যায় সাতগাছিয়া বিধানসভার বিষ্ণুপুর দু’নম্বর ব্লকের চক এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম উদয়রামপুর। সেই গ্রামে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষের বাস।

তবে বলা বাহুল্য ওই গ্রামবাসীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ রঙিন মাছ চাষের উপর নির্ভর।উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর থেকেই উদয়রামপুর গ্রামে অর্থনৈতিক সংযোগ ঘটায় এই রঙিন মাছ । তারপর থেকেই প্রতিটি চাষির বাড়িতে চৌবাচ্চা কেটে, তো কারও আবার পুকুরে নেট ঘিরেই চাষ হয় এই মাছের। তবে এই রঙিন মাছগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছও এই গ্রাম থেকে আমদানি রপ্তানি হয়।

এছাড়াও এই মাছগুলোর মধ্যে এনজেল , গোল্ডফিস , টেনজারিং,কসবি, কিসিং, ফাইটার,জাতীয় মাছ বেশি চাষ হয় এই গ্রামে।এমনকি কলকাতার, শ্যামবাজার , হাতিবাগান সহ ভিন জেলাও পাড়ি দেয় রঙিন মাছ। শুধু ভিন জেলাই নয়, উদয়রামপুর গ্রামের মাছ মুম্বাই, ও দিল্লিতেও পাড়ি দেয় বলে দাবি মেছুয়াদের।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মধ্যে দুমাসের বকেয়া বেতন না মেলায় বিক্ষোভ শ্রমিক সংগঠনের

তবে তাঁদের মতে ব্যবসা চলছিল ঠিকঠাক, কিন্তু রাজ্যে করোনার থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যবসায়ী। ফলে সময় মতো মাছ না রপ্তানি করলে, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন বিষ্ণুপুরের রঙিন মাছ চাষিরা। এর পাশাপাশি লকডাউনের জেরে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন অসহায় দুঃস্থ মাছ চাষিরা।অপরদিকে ঘরবন্দি চাষিদের হাতে মিলছে শুধুই চাল ডাল আলুর মত ত্রান সামগ্রী। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে তাই সরকারি সহযোগিতার আসায় দিন গুনছেন অনেকে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির কাছে দারস্ত হয়েছেন জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক নবকুমার বেতাল। তবে নবকুমার বাবু জানান, চাষিদের কথা মাথায় রেখে সাংসদ কি কোন ব্যবস্থা নেবেন, তা শুধু সময়ই বলবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584