সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমানের গলসির সাঁকো পঞ্চায়েতের শশঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা ডাকঘরের পাসবই ফেরত দেওয়ার দাবিতে গ্রাম সচিবের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিলেন।
বাসিন্দাদের দাবি, পাঁচ বছর ধরে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার সাইদুল হক মল্লিক এবং গ্রাম কমিটির সচিব শেখ আসগর পাসবইগুলি আটকে রেখেছেন। অথচ এই একাউন্টে টাকা ঢোকে। গলসি ২ বিডিও শঙখ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কোন সমাধান মেলেনি বলে দাবি করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তারপরেই সচিবের জামা কাপড়ের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে পাসবই আটকে রেখেছে। ওই অ্যাকাউন্টে একশো দিনের কাজের মজুরি নিয়মিত মেলে। একশো দিনের কাজে প্রচুর বেনিয়ম তাঁরা করেছে। তাই পাসবই ফেরত দিচ্ছে না। গ্রামবাসীরা বলেন, গ্রামের একটি পুকুর সংস্কার বরাদ্দ হয়েছিল ৮ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে শ্রমিকরা ৮৬ হাজার টাকা করে পেয়েছিল। কিন্তু সেই পুরো টাকাটাই সুপারভাইজার এবং গ্রাম সচিব আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।
ব্লক অফিসে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েও বিশেষ সুরাহা হয়নি বলে তাঁরা জানান।
যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন সাইদুল হক মল্লিক। তিনি বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডাকঘরের একাউন্ট বাতিল করা হয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকের একাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তাঁদের কাছে কোন পাসবই নেই।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর
বিডিও সুপারভাইজারদের নিয়ে বসে ছিলেন সেখানে কি হয়েছে তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করেন সাঁকো পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আলী মোল্লা।
যদিও সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584