নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
অবশেষে আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং। আজ দুপুর অবধি যে খবর টলিমহলে ভাসছিল তা হল- যত দিন না করোনা বিদায় নিচ্ছে ততদিন বন্ধ থাকবে শুটিং।
আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে দেওয়া দাবি দাওয়াকে অহেতুক কাজে বাধা সৃষ্টি করার নামান্তর বলে মনে করেছিল প্রযোজক মহল।
তবে, সব কথা আর তর্কের অবসান ঘটল এদিন। মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অফিসে এদিন বৈঠকে বসে আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন, চ্যানেল, ডব্লিউ এ টি পি’র। সমস্যা মিটল। এস ও পি-তে হয়ে গেল সইসাবুত। সুতরাং আর কোনও দ্বন্দ্ব আপাতত নেই।
সরকারি নিয়মবিধি মেনেই চলবে শুটিং। বজায় থাকবে সামাজিক দূরত্ব সহ আরও যা যা নিমবিধি আছে তার সবই।
আরও পড়ুনঃ আত্মঘাতী সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার
সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকান-হাটে দাঁড়ানো সহজ। কিন্তু শুটিং? তা কি সম্ভব? এই ব্যাপারে কথা বলা হয় পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত’র সঙ্গে। তিনি নিউজ ফ্রন্ট-কে জানান- “প্রায় ৮৫-৮৬ দিন পর আগামিকাল থেকে কাজে ফিরছি আমরা।
সব ঠিক থাকলে আজই শুরু হত কাজ। এস ও পি নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি।হয়েছিল তা মিটেছে। দাবিদাওয়া মেনে হয়ে গেছে সই সাবুত। আমাদের কাছে বেশ কিছু গাইডলাইন এসেছে৷ সেগুলি মেনে নিয়ে চলতে হবে আমাদের। আমরা রাজি।
আরও পড়ুনঃ জট পাকছে ভেন্ডারমহলে
ফ্লোর স্যানিটাইজ করে, দূরত্ব বজায় রেখে, একটা মেক আপ রুমে দুজন শিল্পী, একজন মেক আপ আর্টিস্ট আর একজন হেয়ার ড্রেসারের বেশি লোক না থেকে, মেক আপ রুম স্যানিটাইজ করে, একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত স্যানিটাইজ করে কাজ এগিয়ে নিয়ে চলতে হবে৷ পাশাপাশি সিনের সময়েও মানতে হবে দূরত্ব।
এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয় পরিচালকদের কাছে। পরিচালকরা সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি, নিয়েও থাকেন তাঁরা। সুতরাং এক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম আমরা৷ একটা নতুন ফরম্যাটে কাজ শুরু করব কাল থেকে। নতুন যুদ্ধ শুরু করছি বলে মনে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কোনও গর্ভবতী মহিলাকে কাজ করতে দেওয়া হবে না, সকলকে পরিষ্কার জামাকাপড় এবং জুতো পরে আসতে হবে, কোনওরকমের নেশার উপাদান আনা চলবে না, একসঙ্গে ৬ জন শিল্পীর বেশি কেউ শুটিং ফ্লোরে থাকতে পারবে না। এহেন আরও না এবং হ্যাঁ মেনে নিয়েই চলবে শুটিং।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584