খড়্গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের

0
42

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

খড়্গপুর সদর বিধানসভার উপনির্বাচনে ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াকেই প্রথম কাজ হিসেবে উল্লেখ করলো তৃণমূল। রাজ্য পুর ও নগরায়ন দফতরের সহযোগিতায় তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শাসক দলের বিধায়ক না থাকার সুযোগ নিয়ে রেল যেভাবে পুরসভাকে একের পর এক বাধা দিচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতেই উন্নয়নমুখী বিধায়ক চাইছেন খড়্গপুরের মানুষ। যিনি তাঁদের কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দলের ইস্তেহার প্রকাশ করে এই বার্তা দেন দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

manifesto published by TMC at Kharagpur
ইস্তাহার প্রকাশ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র

এদিন বিকেলে প্রার্থীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে মালঞ্চ, খরিদা, নিমপুরা, জয়হিন্দ নগরে প্রচার সারেন। পথ চলতি মানুষনজকে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করে বিধানসভায় পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিকে আরও প্রসারিত করার আবেদন জানান। এদিন বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক পরিবহণ মন্ত্রীর মিছিলে পা মেলান। ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলা এই মিছিল যতই এগিয়েছে ততই মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

খড়্গপুরের ৮ টি ওর্য়াডের বেশ কিছুটা করে অংশ রেলের অধীনে। এরফলে রেল সেসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনের জন্য খড়্গপুর পুরসভাকে উন্নয়ন করতে বাধা দিয়ে আসছে। টানা ৫০ বছর খড়্গপুরের বিধায়ক ছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিং সোহানপাল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে বিধায়ক হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ৩ বছর বিধায়ক থাকাকালীন তিনি কোনো উন্নয়নমূলক কাজই করেননি। তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকাও অর্ধেক খরচ করতে পারেননি। এর মধ্যেই এসে পড়ে লোকসভা নির্বাচন। তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মেদিনীপুর লোকসভার প্রার্থী হন, জয়ী হন।

অভিযোগ, দিলীপ বাবু বিধায়ক ও সাংসদ হিসেবে বরাবরই তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভার সঙ্গে অসহযোগিতা করে এসেছেন। রেলকে দিয়ে উন্নয়ন কাজে বাধার সৃষ্টি করেছেন। ৮ টি রেল বস্তি এলাকায় ৫৩৪২ টি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণের জন্য ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে খড়্গপুর পুরসভা ৪ কোটি টাকা পেয়েছিল। এবছরের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরুর কথা ছিল, টেন্ডারও হয়ে গিয়েছিল। রেল সেই কাজ করতে দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের লাইন নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। রেলের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার একপ্রকার জোর করেই মানুষের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ খড়্গপুরে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে শুভেন্দু

বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে ইস্তেহার প্রকাশ করে শুভেন্দু জানান , ‘বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে। রামের সঙ্গে রহিমের সংঘাত বাধানোর রাজনীতি করে। সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করে। আর তৃণমূল শুধুই মানুষের জন্য উন্নয়নের রাজনীতি করে। মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে।’

উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচার, বুথসভা, মিছিল করে প্রচারে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ২০১৫ সাল থেকে খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান রয়েছেন প্রদীপ সরকার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here