আনন্দবাজার তার ট্যাগ লাইনে বলে, ‘পড়তে হয় না হয় পিছিয়ে পড়তে হয়’।কিন্তু এটি নিশ্চিত যে বর্তমানে আনন্দবাজার বড্ড পিছিয়ে পড়ছে।
যে কোন সংবাদের মূল ভিত্তি হল সত্য ঘটনার প্রকাশ এবং ঘটনার সত্যতা নিরূপণ করতে তথ্যের সমাবেশ। যে তথ্যের ভিত্তিতে পাঠক সত্যান্বেষণ করতে পারবে।যে কোন সংবাদ রচনার এই পাঠটুকু জানার জন্য স্নাতক ফার্স্টক্লাস অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির দরকার নেই(আনন্দবাজারে ট্রেনি সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা)। কিন্তু এতো যোগ্য সাংবাদিক দিয়েও সংবাদ রচনার সেই প্রাথমিক শর্তটুকু বজায় না রেখেও তা সংবাদ হয় এবং সেই সংবাদ প্রকাশিতও হয়।তহলে সত্যিই কি বলা যায় আনন্দবাজার না পড়লে পিছিয়ে পড়বো? না কি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের স্বঘোষিত অভিভাবকের এ শুধুই বিজ্ঞাপনী চমক?
যে সংবাদটি নিয়ে এতো কথার অবতারণা সেটি ফেসবুকে কবিতা চুরিকে কেন্দ্র করে।সেখানে দুটি পক্ষ আছে তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।আদালত বা প্রসাশন সে অভিযোগ প্রমান করবে কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যখন সেটি সংবাদ হিসাবে প্রকাশিত হবে তখন সেই সংবাদ নিবন্ধে উভয়পক্ষের মতামত,অভিযোগ প্রকাশ করা জরুরী শুধু নয় আবশ্যিক শর্ত।সমগ্র নিবন্ধে দুই পক্ষের কোন অভিযোগ আছে কি?না কি এক পক্ষকে সন্তুষ্ট করে সংবাদের প্রকাশ হয়েছে।
বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে শুধু মাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই মানুষ সংবাদ সংগ্রহ করে না বরং ফেসবুক ইত্যাদি স্যোসাল সাইট প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদ মাধ্যমের পরিধিকে ক্রমশ গ্রাস করছে এই অবস্থায় অনেক মানুষ বিশ্বস্ততার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদমাধ্যমের উপর নির্ভর করে কিন্তু তাদের যদি এই দশা হয় তবে উড়ো খবরে মানুষ মাতবে।ক্ষমতা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চমক দিয়ে বলবে,দেখ কেমন দিলাম।
বাজারী হতে হতে আনন্দবাজার তার সাংবাদিকদের পেশাগত নৈতিকতাও কি শেখাতে ভুলে যাচ্ছে আর না হলে অদক্ষ পেশাদারদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে যার ফলশ্রুতি ঘটছে এই ধরনের সংবাদের প্রকাশ।
এ শুধু আনন্দবাজারের লজ্জা নয় সমগ্র সংবাদ মাধ্যমের লজ্জা যে এই ধরনের বালখিল্য মূলূক সংবাদের প্রকাশ করে কোন ব্যক্তিকে বা সংগঠনকে তুষ্ট করে প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদ মাধ্যমের বিশ্বাসকে কালিমালিপ্ত করার জন্য।ফলে প্রতিটি সংবাদমাধ্যমকেই এ ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা গ্রহন করা উচিৎ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584