সেচের জল নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

বৃষ্টির পরিমাণ অত্যাধিক কম হয়েছে তার উপর দামোদর এবং তেনুঘাট জলাধারে পর্যাপ্ত জল না থাকায় পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদরের বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের জমিতে সেচের জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মন্ত্রী সহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল বর্ধমানে।রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দোপাধ্যায়,মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার,মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,জেলা শাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব,জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা,সহ সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলার প্রশাসনিক এবং সেচ দফতরের কর্তারা সহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলতি বছরে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। যার প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর জমিই দামোদরের ক্যানেলের জলের উপর নির্ভর করে।অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।তাই চাষে জল সংকট দেখা দিয়েছে।বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার জন্য সাবমার্শিবলের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল।যদিও গত ১০ অক্টোবর সেচের জল সরবরাহ সংক্রান্ত বৈঠকে যে সমস্ত চাষীদের বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকার জন্য যে সব সাবমার্শিবলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল তা পুনঃসংযোগের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।অভিযোগ বিদ্যুৎ দপ্তর তা পালন করেনি।যদিও বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১২০ কোটি টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে।জেলার যে ৭০টি সাবমার্শিবলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল তা ফের চালু হয়ে গেছে।এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে,আজ থেকে তিনদিনের জন্য সেচে জল ছাড়বে ডিভিসি।দামোদরে যে জল রয়েছে আমন চাষের জন্য তা থেকে মাত্র ৪০ হাজার একর ফিট জল দেওয়া সম্ভব।প্রত্যেক দিন ১৪ হাজার একর ফুট জল ছাড়া হবে।তাতে তিন দিন পর্যন্ত জল মিলবে সেচখাল গুলিতে।তবে তারপর কি হবে সে চিন্তায় ঘুম নেই চাষীদের।

আরও পড়ুনঃ গম চাষের বিকল্প ,মিলবে রাজ্য সরকারের সহায়তা