সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পাখির চোখ করা হয়েছে বিধানসভা ভোটকে। সেদিকে তাকিয়েই জেলায় দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। গতকাল অর্থাৎ শনিবার থেকে বিজেপি জেলায় জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। গতবার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা বর্ধমান সদর এর সদস্য হয়েছিল ৩৫ হাজার ৯২ জন। এবার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার জনের।
সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,একদিকে যেমন নতুন সদস্য সংগ্রহের দিকে নজর দেখা হয়েছে অন্যদিকে বিজেপিতে অন্যদল থেকে যোগদান যাঁরা করছেন সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। গুসকরার প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই সহ বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দিলেন।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য চঞ্চলবাবুর নেতৃত্বে ২০০৮ সালে গুসকরা পৌরসভা ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। পুরপ্রধান হয়েছিলেন তিনি। এগারো বছর পরে বিজেপিতে যোগ দিলেন চঞ্চলবাবু। আউসগ্রাম থানায় অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ৪৭ দিন জেল হাজতে ছিলেন চঞ্চলবাবু। সংশোধনাগার থেকে ফিরে আসার পরে দীর্ঘ কয়েকমাস রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। কয়েক মাস ধরেই বিজেপিতে তিনি যোগ দেবেন এরকম একটি গুঞ্জন উঠেছিল।নিউজ ফ্রন্ট সম্পূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরেছিল।
বিজেপির একাংশ চঞ্চলবাবুর যোগদান নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জেলাস্তরে চিঠি দিয়েছিল ও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। চঞ্চলবাবুর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব দলে যোগদানের বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে দিশা দেখাচ্ছে।
চঞ্চলবাবু অবশ্য বলছেন, মিথ্যা অপবাদে ৪৭ দিন জেল খাটানো হল। দলের নির্দেশে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো। এই ঘটনায় তিনি প্রচন্ডভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন। চঞ্চলবাবু দাবি করছেন গুসকরার ১৬টি ওয়ার্ডেই জিতবে বিজেপি। যদিও এই দলবদলে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না বলেই মত আউসগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারের। তিনি বলছেন, দীর্ঘদিন দলের সংস্পর্শে ছিলেন না চঞ্চলবাবু। ফলে বিজেপিতে যাওয়ায় দলের বিশেষ কোন ক্ষতি হবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584