নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

দীর্ঘদিনের দাবি লোয়াদা ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করা।আর সেই সংযোগকারী রাস্তার শিলান্যাস করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা।ডেবরার লোয়াদা ব্রিজের সমস্যা দীর্ঘদিনের, আর সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তার শিলান্যাস ছিল আজ।

শিলান্যাস অনুষ্ঠান চলাকালীনই স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে উদ্বোধন করতে আসা মন্ত্রী-নেতারা। স্থানীয় মানুষদের নিয়ে দীর্ঘ দিন আগে তৈরি হয়েছিল দ্বীপান্তর মুক্তি সংগ্রাম মঞ্চ। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ সালে তৈরি করেছিলেন লোয়াদা ব্রিজ।কিন্তু ব্রীজের কাজ অসমাপ্ত থাকে সংযোগকারী রাস্তা তৈরির জমি জটের জন্য।অবশেষে জমি জটে কেটে সংযোগকারী রাস্তার তৈরীর কাজ শুরু হবে।
এটাই আশা করেছিল স্থানীয় মানুষজন।কিন্তু উদ্বোধনের দিন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বক্তব্যে জোর ছিল আষাঢ়ী থেকে চক ত্রিপাট পর্যন্ত রাস্তার কাজের উপর।এখানেই বাধা ছিল স্থানীয় মানুষের।স্থানীয়দের দাবি ছিল আগে সংযোগকারী রাস্তার কাজ শুরু হোক তারপর হবে অন্য রাস্তার কাজ।আর সেখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয় সাধারণ মানুষের সাথে উদ্বোধন করতে আসা নেতা-মন্ত্রীদের।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে রেলকর্মীদের বিক্ষোভ অবস্থান
ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মন্ত্রীসহ কর্মাধ্যক্ষরা।দ্বীপান্তর মুক্তিসংগ্রাম মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়ে স্লোগান বিক্ষোভ দেখানো হয়।স্থানীয় মানুষ দাবি জানায় আগে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি না হলে তারা ভোট বয়কটের পথে যাবে।যদিও তৎক্ষণাৎ পুলিশের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়।
মুক্তি মঞ্চের কর্মীরা প্রথমে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে মন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনা করে, আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে অশোভন আচরণে জড়িয়ে পড়ে জেলা পরিষদ এর কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃনমূলের যুবসভাপতি রমা প্রসাদ গিরি।দলের অনেকেই আড়ালে বলেছে রমার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দলের অনেক ক্ষতি করল,যার জন্য এই এলাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584