পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
নিজের বিয়ের নিজে ভেঙে পরীক্ষা দিতে গেল সুষমা সিংহ নামে বছর পনেরোর নাবালিকা।
উত্তর দিনাজপুর জেলার মাঝিয়ালি অঞ্চলের উচলগছ /গোয়ালটলি গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল সিংহ মেয়ের বিয়ে পাকাপাকি ভাবে ঠিক করেন৷ আজ সামাজিক মতে বিয়ে হওয়ার কথা কিন্তু মেয়ে বিয়ে না করে পড়াশোনা করে বড়ো হতে চায় তাই বিয়ে ভেঙ্গে নিজের পরীক্ষা দিতে গেল। ইংরেজি আগস্ট মাসের আজ সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা। বার বার বিয়েতে অমত থাকায় পরিবারের পক্ষে কেউ কথা গুরুত্ব দেয়নি বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের জানানো হলে তাঁরাই এগিয়ে আসেন।
মাস্টারমশাইদের জানিয়ে দেন তার বাবা প্রফুল্ল সিংহ তার বিয়ে ঠিক করেছেন অভাবি পরিবার বিয়ে দিতে পারলে নিশ্চিন্ত ১৫ বছরের নাবালিকা কোনমতেই বিয়ে করতে রাজি নয়। মাষ্টার মশাইরা তার কথা শুনে, সাহস যোগান। এবং তারা তার পরিবারে এসে তার বাবা মা কে বোঝান। কিন্তু সেই বোঝানে তেমন ফল হয়নি।
মেয়ের বাবা জানান, তার দিনমজুর পরিবারে চারটি মেয়ে। তাই একটি মেয়ের বিয়ে দিয়ে সংসারের বোঝা কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নাবালিকা সুষমা তার বাবার মত উপেক্ষা করে কোনমতেই সে বিয়ে করবেনা বলে ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় বিয়ের দিনেই সে তার নিজের বিয়ে নিজেই ভেঙে দিয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়।
সুষমা মাঝিয়ালি হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে
নাবালিকা ছাত্রী সুষমা জানান সে পড়তে চায় এবং ভালো পড়াশোনা করে সে একজন ডাক্তার হতে চায়। এই খবর শুনে এদিন পুলিশকর্মী তথা সমাজসেবী বাপন দাস এসে মেয়েটির হাতে একটি চেক এবং একটি কলম তুলে দিয়ে তার সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন।
বাপন দাস জানান, এলাকার প্রবীণ সাংবাদিক সুবল গোপে মহাশয়ের কাছ থেকে এই খবরটি পেয়ে ছুটে আসি। সুষমার মত আমি মনে করি অন্যান্য মেয়েরাও যাতে বাল্য বিবাহের প্রতিবাদ করে।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে স্কুল
মেয়ের বাবা প্রফুল্ল সিংহ জানান, অভাবের সংসারে তার চারটি মেয়ে থাকার কারণেই তিনি তার নাবালিকা মেয়ে সুষমার বিয়ে ঠিক করেছিলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584