সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
রাজ্যজুড়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে। বর্ধমান শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।
কর্মসূচির মাঝে স্থানীয় নেতা তাঁকে কেন ডাকা হয়নি এ প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় নেতা হলেন এলাকার কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সেলিম।
তাঁর বক্তব্য, ভোট করার সময় তাঁরা জান-প্রাণ দিয়ে ভোট করান। অথচ বিধায়ক তাদের না জানিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। এতে তৃণমূলের নিচু স্তরের কর্মীদের ক্ষোভ যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও বিধায়কের সঙ্গে কারা যাবেন তা দলের উপরতলা থেকে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বীরভূমে বিক্ষোভের মুখে কৃষিমন্ত্রী
বিভিন্ন জায়গায় প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের বাদ দিয়ে এই কর্মসূচি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে। বিধায়কের সঙ্গে কে যাবেন, কার বাড়িতে রাত্রে থাকতে হবে সবই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই ধরনের নির্দেশ? কেন সবাইকে নেওয়া হচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে মনে করা হচ্ছে নিচুস্তরের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণ, কাটমানি সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ স্থানীয়দের রয়েছে। খোলা মনে যাতে তারা সেসব বিধায়ককে বলতে পারেন সেজন্য আগে থেকেই দল ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছু জায়গায় বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাধারণ মানুষ। মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্যের অভিযোগ তিন চারজনকে নিয়ে পুরো বিষয়টি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা কিছুই জানতে পারছেন না। রাজ্যের কাছে এনিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
যাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ সেই রবিরঞ্জনবাবুও বলছেন, সম্পূর্ণটাই দলের নির্দেশে হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া বাড়িতে গেলে বাসিন্দারা মুখ খুলবেন না। মুখ না খুললে সঠিক রিপোর্ট কলকাতায় পাঠানো যাবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584