বিগত কয়েক মাস ধরে প্রতিনিয়ত তাদের মনের রক্তক্ষরণে ভিজতে হচ্ছে।পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হতে হচ্ছে আক্রান্ত।সরকারী পরিকাঠামোর অভাব, বেসরকারী মালিকের মুনাফার লালসার শিকার কোন কিছুই যেন আলোচ্য নয়। এই যন্ত্রণা বুকে নিয়েও তাঁরা কাজ করে চলেছেন,কারন এই পেশায় মানুষের জীবন মৃত্যু নির্ভরশীল। কিন্তু এই বার যে আঘাত তাদের উপর নেমে এলো তা স্মরণাতীত কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঘৃণ্য। এ আক্রমণ উত্তেজিত জনতার হঠাৎ ফেটে পড়া, হঠাৎ ক্ষোভ নয়। বাঙ্গালীর সবচেয়ে বড় উৎসব শারদোৎসবে মধ্য কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মহম্মদ আলী পার্কের দুর্গাপূজায় অসুররূপে দেখানো হয়েছে তাদের। রক্তপিচাশ ডাকাত কতো অভিধায় তারা ভূষিত কিন্তু আজও এদেশের লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ নুন্যতম চিকিৎসাটুকু পায় তাদেরই কাছে।সব পেশায় কিছু নেতিবাচক মানুষ থাকে ডাক্তারি পেশাতেও আছে। সামাজিক অবনমনের স্রোত সর্বস্তরের পেশায় স্পর্শ করেছে এই পেশা তা থেকে মুক্ত এমন অযৌক্তিক দাবী কেউ করছে না কিন্তু তাই বলে অসুর আঙ্গিক?
একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক যখন পরিবার নিয়ে ঐ পুজা মন্ডপের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে তাঁর সঙ্গে থাকা কোন শিশু যদি জিজ্ঞাসা করে- বাবা তুমি অসুর? কি উত্তর দেবে সেই চিকিৎসক পিতা। তার থেকেও বড় কথা ঐ শিশু কোনদিন এই পেশার প্রতি আর্কষণ দেখাবে? ফলে দিনের শেষে আমরা যে অন্ধকারে ছিলাম সেই অন্ধকারেই নিমজ্জিত হবো না কি। প্রশ্ন উঠছে সর্বস্তরে।আসলে আসল অসুরে প্রতিপন্ন হলো মহম্মদ আলী পার্কের দুর্গাপূজা কমিটি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584