করোনা রোধে ধারাভির মডেলকে দৃষ্টান্ত হিসাবে উল্লেখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

0
101

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বাইঃ

যখন ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছিল সেই সময়ে মুম্বইতে হুড়মুড়িয়ে বেড়ে গিয়েছিল করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা। কোভিড-১৯-এর কোপে পড়েছিল মুম্বইয়ে ধারাভি বস্তিও। তবে কড়া হাতে লকডাউন পালন, নজরদারি এবং সঠিক পরীক্ষার ফলে ওই বস্তিতে চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০-এর নীচে নেমেছে।

Dharabi slum area | newsfront.co
ঘিঞ্জি ধারভি বস্তি। ফাইল চিত্র

এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বস্তির মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হু’র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস জানান, মাত্রাছাড়া সংক্রমণ সত্ত্বেও পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভবপর, তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে বিশ্বের কয়েকটি এলাকা। দৃষ্টান্ত হিসেবে ধারাভির নামও উল্লেখ করেন তিনি।

কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বস্তি, দেখে নিন একঝলকে:

১) আড়াই বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে প্রায় ৮০০ হাজার মানুষের বাস। ভাঙাচোরা বাড়ি এবং ঘুপচিতে থাকেন সেখানকার মানুষ। বস্তির মধ্যে রয়েছে গলি-তস্য গলি, খোলা নর্দমা।

২) গত ১১ মার্চ মুম্বইয়ে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। আর ধারাভিতে করোনা প্রথম থাবা বসিয়েছিল ১ এপ্রিল।

৩) ধারাভিতে করোনা হানা দেওয়ায় রীতিমতো আশঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রশাসনের কর্তারা। এমনিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে করোনার ভয়াল থাবায় ধুঁকতে থাকা মুম্বইয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দু’চোখের পাতা এক করতে পা ছিলেন না তাঁরা। সেই অবস্থায় প্রশাসনের তরফে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। ওই বস্তিতে শুরু হয় নজরদারি এবং স্ক্রিনিং। স্যানিটাইজেশনের কাজ চলে প্রতিনিয়ত।

৪) শুক্রবার ধারাভিতে ১২ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এর আগের গত মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ধারাভিতে এক, তিন এবং ন’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

৫) শুক্রবার পর্যন্ত ধারাভিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৪৭। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৬৬। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৮১৫ জন রোগী।

আরও পড়ুনঃ ২০২১-এর আগে আসছে না করোনা ভ্যাকসিন, জানাল বিজ্ঞানমন্ত্রক

৬) জুন মাসে মুম্বইয়ের ধারাভিতে প্রত্যহ ১৮ জন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পয়লা জুন ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেটাই একদিনে সর্বোচ্চ ছিল। চলতি মাসের শুরু থেকে নয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে।

৭) ইতিমধ্যে ছ’লাখের বেশি মানুষের স্ক্রিনিং হয়েছে ধারাভি বস্তিতে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here