সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
গত সোমবার দুপুর থেকে খোঁজ মিলছিল না আট বছরের মেয়ের।অবশেষে বাবার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়ির নির্মীয়মান শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ।
দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মামাকুঠি গ্রামে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় ঠেলা চালক ও প্রতিবেশী লেপ-তোষকের এক ব্যবসায়ীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল।সম্প্রতি তাদের মনোমালিন্য হয় মদ্যপান নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র করে।দুজনের মধ্যে তৈরি হয় তিক্ততা।ঠেলা চালকের বড় মেয়েকে ওই ব্যবসায়ী অশালীন কথাবার্তা বলে বলেও অভিযোগ উঠছে।এলাকার কিছু লোকজন তখন তার গায়ে হাত তোলেন।
আরও পড়ুনঃ বেহালায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার রংমিস্ত্রি
ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী তখনই পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন বদলা নেওয়ার।সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দেখে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই ঠেলা চালক।কারও সাথে কোন শত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশকে তিনি ওই লেপ-তোষক ব্যবসায়ীর কথা বলেন।
পুলিশের দাবি, ব্যবসায়ীকে জেরা শুরু হয়।দীর্ঘ জেরার পরে অবশেষে ভেঙে পড়ে।তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে নির্মীয়মাণ শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে বালির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়েটির দেহ।পুলিশ জানায়,প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান।
এই খবর পেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মামাকুটি থেকে গোগলা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেন।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লেপ-তোষক বার করে রাস্তায় ফেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।পুলিশের দাবি,অভিযুক্ত মেয়েটিকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।
ঠেলা চালককে শিক্ষা দিতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সে জানায়।মৃতার বাবা বলছেন, ভবিষ্যতে এমন কাণ্ড যাতে আর কেউ না করে সেজন্য অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হোক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584