নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
নতুন বছরে অভিনেতা-পরিচালক প্রসূণ গাইনের নতুন ভয় দানা বেঁধেছে মনে। ভয় হল, ‘যদি আর না হয় দেখা’। এরকম ভয় আমাদের সকলেরই কম বেশি। কিন্তু সেই ভয়কে আশ্রয় করে গান বা শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলি কয়জন? বানানো অবশ্য আমাদের সকলের কাজও নয়। কিন্তু প্রসূণ যখন এহেন কিছু বানান তা দেখতে তো আপত্তি নেই। কারণ পরিবেশনের ঢঙে তা হয়ে ওঠে অনন্য। এবারও একটি মিউজিক্যাল শর্ট বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
প্রসূণ জানান, “করোনার ফলে, অনেকের অনেক কিছু হারিয়েছে। চাকরি, ব্যবসা থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে অনেক সুন্দর সম্পর্কেরও। আমাদের গল্পেও ক্ষতি হয়েছে ভালোবাসার সম্পর্কের। তবে, ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার সঠিক কোনও কারণ নেই আমাদের এই গল্পে। শুধু একটা শূন্যতা রয়েছে। ভালোবাসা না থাকলেও সেই মুহূর্তগুলোকে খোঁজার বা মনে করার চেষ্টা করি আমরা। আর সেটা নিয়েই এগিয়ে চলি ভবিষ্যতের দিকে।
পড়ে থাকে একটা সুন্দর সম্পর্কের স্মৃতি। এই নিয়েই আমাদের গানে গল্প ‘যদি না হয় আর দেখা’। অজস্র স্মৃতি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, অপেক্ষা, বিরহ, কাছের মানুষকে ভোলার কষ্ট- প্রতিদিনের জীবনে ঘটে চলা এইরকম ঘটনাকে একটু অন্যরকম করে দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা।
আরও পড়ুনঃ সম্মুখ সমরের যোদ্ধাদের সম্মানিত করল ‘সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমি’
ফেলে আসা জীবনের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা ভুলে নতুন করে নতুন বছরে এগিয়ে চলার গল্পই বলবে ভালোবাসার গান ‘যদি না হয় আর দেখা’। সময় সবকিছু ভুলিয়ে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। নতুন বছরে নতুনভাবে বাঁচতে শেখাবে এই গান। আপনারাও গানে গল্প দেখুন এবং শুনুন। আশাকরি সকলের ভালো লাগবে আমাদের এই প্রচেষ্টা।”
শুটিং হয়েছে হালিশহর আর সোদপুরের কিছু লোকেশনে। ছবিতে প্রসূণের সঙ্গে সহ পরিচালনার কাজ করেছেন আকাশ মালাকার। ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসূণ স্বয়ং, তুলিকা বসু, রাই কথা, পৌষালি মান্না, জয়দেব দে, অরুণ মুখার্জি। ছবির নায়িকা রাই কথা ত্রিপুরার মেয়ে। তাঁর চরিত্রটি অন্য একজনের করার কথা ছিল৷ টেলিভিশনের টাইট শিড্যুলের লারণে তাঁর পক্ষে কাজটি করা সম্ভব না হওয়ায় রাইকে জরুরি তলব করেন প্রসূণ। মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে রাই ত্রিপুরা থেকে উড়ে আসেন কলকাতায়।
ক্যামেরায় বিনোদ কুমার গৌতম।
আরও পড়ুনঃ ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঋদ্ধি সেনের ‘কোল্ডফায়ার’
মিউজিক ডিরেক্টর মাহি-ব্রত। গানের কথা লিখেছেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি। এডিটিং-এ নীলকান্ত দাস। কালারিস্ট মানস ভট্টাচার্য।
ছবিতে কবিতা এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কবিতাটি ১৯৭৬ সালে লেখেন প্রসূণের বাবা পরিমল কান্তি গাইন। কবিতাটি এই ছবিতে পাঠ করতে শোনা যাবে প্রসূণ গাইনকে। প্রসঙ্গত, ছবিটি বানাতে গিয়ে অনেক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসূন।
‘প্রসূণ গাইন ইনিশিয়েটিভ’-এর ব্যানারে মণিকা গাইনের প্রযোজনায় ৬ জানুয়ারি দর্শকের জন্য আসছে ছবির ট্রেলার। রয়েছে দারুণ চমক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584