নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ, একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। এরই মাঝে বিগত ৪ বছর ধরে অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায় মিলে ৩৮৭ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নবম- দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ এই দুটি স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরিতে নিয়োগ না হওয়া শিক্ষক- শিক্ষিকা পদপ্রার্থীরা। প্রথমে ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন। তৃতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ১৭১ দিন ব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ণা চলছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চান তারা।
ধর্ণারত হবু শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ করায় তারা মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরি থেকে বঞ্চিত। তাদের অভিযোগ মেধাতালিকায় সামনের দিকে থেকেও তাদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়নি অথচ তাদের অনেক পিছনের দিকে থাকা বহু চাকরি প্রার্থীদের বেছে বেছে অবৈধভাবে নিয়োগ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুধু তাই নয়, মেধাতালিকায় নাম না থাকা বহু প্রার্থীদের চাকরিতে ইতিমধ্যে দফায় দফায় নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ণারত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ।
আরও পড়ুনঃ হাজিরার বদলে হাসপাতালে, সিবিআই দপ্তর নয় এসএসকেএম হাসপাতালে ‘অসুস্থ’ অনুব্রত
যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো- অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল জানিয়েছেন যে, তারা রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য। তিনি জানিয়েছেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ বঞ্চিত সকল শিক্ষক- শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। একদিকে রোজা অন্যদিকে প্রচন্ড গরম সহ্য করেও ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। ধর্ণারত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। তাঁদের দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করে অতি দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধানের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করুন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584