পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত বীরভূমের পারুই থানার হাটইকরা গ্রাম। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের দশজন। আহতদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পারুই থানার পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বীরভূমের পুলিশ সুপার পারুই থানার এক সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। বিজেপির এক বিস্তারক সনৎ দাসের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। মারধর করা হয় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহিলা সনৎ দাসের মা কে। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম ঘটনার পরের দিনই দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামা প্রসাদ মন্ডল সেদিনই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় অর্থাৎ অভিযুক্তদের যদি গ্রেপ্তার না করে তাহলে তারা তাদের মত করে এই হামলার বিরুদ্ধে আনন্দোলন নামবে। সেই মোতাবেক সিউড়ি বোলপুর রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা, ঠিক সেই সময়েই সেখানে বিজেপি কর্মী সনৎ দাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূলের বাইক বাহিনীর সদস্যরা যাচ্ছিল অবরোধের শামিল বিজেপি কর্মীরা পারুই থানার পুলিশকে দুষ্কৃতীদের চিনিয়ে দেওয়া সত্বেও অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় আরো ক্ষেপে যায় বিজেপি কর্মীরা।বাঁশ লাঠি নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা,অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কার্যত নির্বাক দর্শক হয়েই থেকেছে পারুই থানার সাব-ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্র হালদার যার জেরে বীরভূমের পুলিশ সুপার ওই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করে। বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মন্ডল বলেন যতদিন না পুলিশ নিরপেক্ষভাবে অপরাধীদের গ্রেফতার করছে ততদিন আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলতে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ সাংগঠনিক রদবদল সাংবাদিক সম্মেলনে করিমের ঘোষণা
অভিযুক্তদের রবিবার বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক চারজনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং বাকি ১০ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584