শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
নদীয়া জেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটে নতুন মুখ এনে বাজিমাত করতে মাঠে ময়দানে নেমে পড়ল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান বিধায়ক মহুয়া মৈত্র।
এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন অভিনেতা তাপস পাল।নানাবিধ অভিযোগের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত তাপস পাল এ’বারের সাংসদ পদ বাদ।মহুয়া মৈত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হয়ে ওঠায় টিকিট পেল।ইতিমধ্যেই কর্মী সমর্থকরা দলবেঁধে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছে বলে খবর।অন্যদিকে নদীয়ার রানাঘাট কেন্দ্রে নতুন মুখ এনে চমক দিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিছুদিন আগেই কৃষ্ণগঞ্জ এর বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন।এই সত্যজিৎ বিশ্বাস এর স্ত্রী রুপালি হালদার সাংসদ পদে টিকিট পেলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুপালি হালদারকে দলের প্রার্থী করে যোগ্য মর্যাদা দিল বলে কর্মী সমর্থকদের দাবি। সত্যজিৎ বিশ্বাস এর স্বরণসভা তে জেলার প্রথম পর্যবেক্ষক তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রুপালি দেবীকে সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সেই কথাই স্পষ্ট হয়ে গেল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রুপালি হালদার অর্থাৎ নদীয়া জেলা তে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে মহিলা দুই প্রার্থী।স্বামীর সিমপ্যাথি পেতেই ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে রুপালি দেবীকে।তবে জয়ের সম্ভাবনায় নতুন দুই মুখ অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলাই যায়।নদীয়া জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির বাড়বাড়ন্ত থাকলেও,তারা কতটা সফলতা পাবে জেলা জুড়ে, প্রশ্ন ঘুরছে।তবে একেবারে ফুরুত করে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বিজেপিকে, যদি ভালো প্রার্থী হয় তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কপালে ভাঁজ পড়বে এমনটাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
করিমপুর এর বিধায়ক মহুয়া মৈত্র কে লোকসভার প্রার্থী করে চমক দিলেও এই কেন্দ্রে যদি বিজেপির সত্যব্রত মুখার্জি এক কথায় জুলু বাবু প্রার্থী হয় তাহলে কিন্তু তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।তাই তৃণমূল নতুন দুই মুখ এনে বাজিমাত করতে চাইছে।অন্যদিকে নদীয়া জেলার কিশোরগঞ্জ উপ-নির্বাচনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন।
কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থী হচ্ছেন হাঁসখালি থানার মুরহার্ট এর বাসিন্দা তথা বেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রমথ রঞ্জন বসু কে প্রার্থী করবে বলে ঘোষণা হয়েছে।
প্রমথ রঞ্জন বসু জানিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তৃণমূলের এক নিষ্ঠ কর্মী তাই তৃণমূলের হয়েই কাজ করছেন এবং ভোটে জিতবে বলে প্রচন্ডভাবে আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রার্থী ঘোষণার পূর্বেই জেতার বিষয়ে আশাবাদী বাবুল
তাই নদীয়া জেলা জুড়ে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়াল লিখনের কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে অন্যদিকে বিরোধীরা কিন্তু এখনো অনেকটা ব্যাকফুটে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584