আনিসুর রহমান,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:-
“মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সংখ্যালঘু শ্রেণীর কোনো বিধায়ক,মন্ত্রীকে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়না।কারণ সংখ্যালঘু শিক্ষা উন্নয়নে অনীহা সংখ্যালঘু শ্রেণীর নেতা মন্ত্রীদের।মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যদি তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে জেনে যায় তাহলে করো পতাকা বহন করবে না”– এই বলে সমালোচনা করলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুকলেসুর রহমান ।আজ বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের উদ্যোগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে জেলার প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
দক্ষিণ চব্বিশপরগনার জেলার আহ্বায়ক সাতুলিয়া হাই মাদ্রাসার অ্যাসিটেন্ট সুপাররেন্টডেন্ট রবিউল ইসলাম খান সভা সূচনা করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডঃ মুকলেসুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল মাদ্রসা এডুকেশন ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা কাইসার রসিদ ,শেরপুর রহমানিয়ার প্রধান শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দে,সপ্তগ্রাম হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কাদের সর্দার,কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, বনমালিপুর মাদ্রাসার আব্দুর রাজ্জাক সাহেব সহ অন্যান্য শিক্ষক সহ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও 6th এস এল এসটির সফল পরীক্ষার্থীরা।
উক্ত অনুষ্ঠান প্রধান শিক্ষকগণ কমিটির কাজকর্মের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে সার্ভিস কমিশনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
শেরপুর রহমানিয়ার প্রধান শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দে মহাশয় বলেন যে,”যে সব ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক নিয়োগ করেছে তারা শিক্ষাগত যোগ্যতাকে মান্যতা না দিয়ে নির্বাচনের মাপকাঠি ধার্য করেছে অর্থ।কমিটি শিক্ষক নিয়োগ করলে অর্থ ও পেশি শক্তি বড় হয়ে উঠবে।”
কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস সাহেব বলেন,”মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়া হয় ইসলামে ঘুস ও সুদ হারাম। সে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকার লেনদেন মাদ্রাসার শিক্ষার করুণ ট্র্যাজেডি।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনই পারে স্বচ্ছ,সৎ যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে।কমিটির দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকরা কোনদিন তার সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করবে না।কারণ শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে মুরোদ দরকার তাদের নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584