সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
নিজের সন্তানকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে নৃশংসভাবে শারীরিক নিগ্রহের শিকার গৃহবধূ।হাতে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে বেড়ক মার।নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে দেওয়ার বয়ানে আক্রান্ত গৃহবধূ জানান যে, দড়ি দিয়ে বেঁধে মুখে জুতোর বাড়ি,ব্লেড দিয়ে ঠোঁট কেটে দেওয়ার পর রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।চোখ উপড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া হয়।বিষ্ণুপুর থানার সুলতানগঞ্জের ঘটনা।আক্রান্ত গৃহবধূ সাগরিকা বিবি ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের দারস্থ হয়ে শ্বাশুড়ি দেওর জা সহ মোট আট জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনার প্রকাশ এই যে,গৃহবধূ সাগরিকার স্বামী ইজাজুল সেখ আড়াই বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তার দেওর তাকে কু প্রস্তাব দেয় তাতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা করা হয় এবং তার সম্পত্তি দখলেরও চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনঃ ভাষা ভিত্তিক বিভেদের জেরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল
শেষ পর্যন্ত তার সন্তানকে আটকে রেখে তাদের জোর পূর্বক তাদের চাহিদাপূরণের চেষ্টা করে।কোন ভাবেই সাগরিকা তাদের দাবী না মানায় গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি সাগরিকার জা তাকে ফোন করে ডাকে।সন্তানকে পেতে সে গেলেই চলে এই অমানবিক নির্যাতন।এই অত্যাচারে মূল অভিযোগের তীর তার দেওর মুকাদ্দার সেখের বিরুদ্ধে।
শারীরিক নিগ্রহে বিধ্বস্ত সাগরিকা ছেলেত পাসপোর্ট সাইজ ছবি হাতে অপেক্ষায় আছে প্রশাসনের সাহায্যে কবে ফিরে পাবে তার সন্তানকে।নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানান যে,আমার ছেলে আমি স্কুলে ভর্তি করে মানুষের মত মানুষ করবো।প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বামী হারা গৃহবধূ তার সন্তানকে ফিরে পায় কিনা সেটাই এখন দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584