নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্ট:
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু মামলা দায়ের হওয়ার পর দুই বছর অতিবাহিত, এখনো শুনানিই হয়নি। বাধ্য হয়েই মামলাকারীরা ফের দেশের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ দ্রুত শুনানির আর্জি নিয়ে কিন্তু এখনই শুনানি সম্ভব নয় গ্রীষ্মকালীন অবসরের পরে শুনানির চেষ্টা করা যাবে জানালেন প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়। ২০১৯ সালে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে একবার এই মামলার শুনানি হয়েছিল। সেখানে এই মামলা ৭ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর আবেদন করা হয়। এর পরে ২০২০-র মার্চে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, এই মামলার শুনানি ৫ বিচারপতির বেঞ্চেই হতে পারে। তারপর থেকে আর এই মামলার শুনানি হয়নি।
ইতিমধ্যে, জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনগুলি পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। মূলত সে কারণেই দ্রুত শুনানির আর্জি জানান মামলাকারীরা। অন্যদিকে আদালতের গ্রীষ্মকালীন অবসর শুরু হচ্ছে ২৩ মে থেকে, এরপর আদালত খুলবে ১১ জুলাই অর্থাৎ আগামী আড়াই মাসে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ সংক্রান্ত কোন মামলার শুনানি হবে না। কেন শুনানি হবে না সে ব্যাখ্যাও দেন প্রধানবিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক জন বিচারপতি এর মধ্যে অবসর নেবেন। ফলে তাঁকে অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে বেঞ্চ গঠনের জন্য, বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার একটি আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন যে মানুষ এখন ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’-এর যুগে ‘ইনস্ট্যান্ট জাস্টিস’ আশা করছেন। কিন্তু এই মন্তব্য নিয়ে আইনজীবী মহলের প্রশ্ন, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির জন্য দু’ বছর অপেক্ষা করা কি ‘ইনস্ট্যান্ট জাস্টিস’ আশা করা! পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, শুধু ৩৭০ রদের বিরুদ্ধে মামলা নয়। রয়েছে ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা-সহ কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখার বিরুদ্ধে হেবিয়াস কর্পাসের মামলা, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন, তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মামলা, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আপত্তির মামলা- গত দু’বছরে এই মামলাগুলির কোনও অগ্রগতি হয়নি। আজ মামলাকারীদের হয়ে পি চিদম্বরম, কপিল সিব্বল, শেখর নাফাডে-সহ আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সামনে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা মূলত কোভিড কালে ভার্চুয়াল শুনানি জনিত নানা সমস্যার কারণেই মামলাগুলির কোন অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুনঃ
ভারতের চাকরি প্রার্থীদের ৯০০ মিলিয়ন বীতশ্রদ্ধ, বন্ধই করেছেন চাকরির খোঁজ- CMIE রিপোর্টে প্রকাশ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584