স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা করছেন নার্স ও চতুর্থশ্রেণীর কর্মী

0
144

হরষিত সিং,  মালদহঃ
রোগী দেখে নিজেই ঔষধ দিচ্ছেন নার্স।সুগার পেসার পরীক্ষা থেকে অন্যান্য কাজ করছেন এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী।স্বাস্থ্য পরিষেবার এমনি এক চিত্র ধড়া পড়ল মালদহ জেলার হব্বিপুর ব্লকের ঋষিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।হাসপাতাল ভবন থেকে চিকিৎসা পরিষেবার সমস্ত উপকরণ মজুত থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় এমনি অবস্থা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।বিকল্প ব্যবস্থা না থাকাই তাই বাধ্য হয়ে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর।সরকারি হাসপাতালেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা।তবে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়োগ থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক কবে হবে তার জানা নেই কারও।স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

চিকিৎসা করছেন অস্থায়ী নার্স। ছবিঃ অভিষেক দাস

মালদহের হব্বিপুর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ঋষিপুর ও শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত।প্রত্যন্ত এলাকা হিসাবে পরিচিত গোটা এলাকা।এই এলাকায় ঋষিপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।সীমান্তবর্তী দুটি পঞ্চায়েতের প্রায় আশি হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল।তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসক না থাকায় বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগী দেখছেন এক অস্থায়ী নার্স।পরিকাঠামো ও সরঞ্জাম থাকলেও চিকিৎসক নার্স না থাকায় এখনো চালু হয়নি জরুরি পরিষেবা।বর্তমানে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সোম থেকে শনি বর্হিবিভাগ পরিষেবা চালু রয়েছে। স্থানীয়রা বহুবার বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের জানিয়েছেন কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি আজও
স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে,এক সময় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরি পরিষেবা চালু ছিল।তবে তা বন্ধ হয়ে পড়ে।চালু রয়েছে শুধু বর্হিবিভাগ পরিষেবা।গত পাঁচ বছর আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে ফের চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয় হাসপাতালটি।তৈরী করা হয় নতুন ভবন। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরি পরিষেবা চালুর জন্য দশটি বেড সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরী করা হয়েছে।রয়েছে চিকিৎসক থেকে অন্যান্য কর্মীদের থাকার আবাসন কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সমস্ত কিছু। প্রায় দেড় বছর ধরে কোন চিকিৎসক নেই। বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে এক জন ফার্মাসিস্ট ও এক জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী।সোম থেকে শনিবার ব্লক গ্রামীন হাসপাতাল থেকে এক জন নার্স আসেন।তিনি দিনের কয়েক ঘন্টা বর্হিবিভাগে বসে রোগী দেন।হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে গড়ে প্রতিদিন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় দেড়শো থেকে দুইশো রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন।তবে কোন জরুরি পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের।তবে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আগের অবস্থায় কবে ফিরে আসবে তা এখনো জানা নেয় কারো।

আরও পড়ুনঃ ছাত্রদের নিম্ন মানের খাবার সরবরাহের অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভ

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here