নিজস্ব সংবাদদাতা,কান্দিঃ শনিবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে অধীর চৌধুরীরর মিছিলে হামলা করার অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে।তাদের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কান্দি থানা ঘেরাও করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেয় বিজেপি, সিপিএমও। এদিন কান্দির মহকুমাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা করার জন্য অধীর চৌধুরি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মাঝপথে তাঁর মিছিলে চালানো হয় বলে অভিযোগ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের তারা করা হয়। কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে তৃনমূলের গুন্ডারা ব্যাপকভাবে মারধোর করে বলেও অভিযোগ।
ঘটনায় কয়েকজন পথচারীও আহত হন। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে এক টিভি চ্যানেলের চিত্র সাংবাদিক কৌশিক ঘোষকেও মারধোর করা হয়েছে। তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে দেখতে যান অধীর।কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, এদিনের ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন খড়গ্রাম ব্লক তৃনমূলের সভাপতি মফিদউদ্দিন মন্ডল। পুলিশের সামনেই রীতিমতো চলে শাসকদলের এই তাণ্ডবলীলা। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা এসেছিলাম ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা করতে। বোমা, পিস্তল নিয়ে মারামারি করতে আসিনি। জানতাম এখানে হামলা হবে। তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সবকিছু দেখেও চুপ থাকছে। শুধু কান্দিতেই নয় রাজ্যের সর্বত্রেই প্রতিদিন সব দলের লোক মার খাচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব দেখেও না দেখার ভান করছে। রাজ্যজুড়ে যেন একটা অরাজকতা চলছে।
জানা গিয়েছে, ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এদিন কান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে এস ডি ও অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
মিছিলটি রাজ হাইস্কুলের কাছে আসতেই হামলা করে একদল তৃনমূলের লোক। লাঠি হাতে নিয়ে প্রথমে এগিয়ে আসে একজন। তাকে কান্দি মহকুমা তৃনমূল ছাত্র পরিসদের সভাপতি জয়দেব ঘটক আটকে দেন। তাকে সরিয়ে দিয়ে সামনের দিকে ছুটে আসে খড়গ্রাম ব্লক তৃনমূলের সভাপতি মফিদ উদ্দিন মন্ডল। তার পিছনে লাঠি হাতে এক দল লোক তাদের মারতে থাকে। কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে থাকে। ছত্রভঙ্গ হয় মিছিলটি। পালিয়ে যায় কংগ্রেস কর্মীরা। তবে অধীর বাবুর উপরে কোন হামলা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584