শালুক শাক আর বিউলির ডাল দিয়ে দেবীকে ভোগ নিবেদন

0
184

সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ

প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন বর্ধমানে মানকরের ভট্টাচার্য পরিবারের বড় বাড়ির পূজা। কথিত আছে, দেবী স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছিলেন এই পূজা শুরু করার, যা এলাকাবাসীর কাছে ভট্টাচার্য পরিবারের ‘বড় বাড়ির পূজা’ নামে খ্যাত।

নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেকদিন দেবীকে ২১ সের চালের ভোগ নিবেদন করা হয়। তার সাথে একাধিক পদ থাকলেও প্রাচীন রীতি অনুসারে শালুক শাক, বিউলির ডাল ও বড়ি ভাজা দেওয়া হয়। পূজার আগে নিষ্ঠা ভরে এই বড়ি বাড়িতেই বানানো হয়। আগে মোষ, ছাগ, মেষ বলির প্রচলন থাকলেও বর্তমানে তা আর হয় না। এ প্রসঙ্গে জানা যায়, দীর্ঘদিন এই প্রথাটি বন্ধ হয়ে আছে। কারন শোনা যায়, পরিবারের গৃহবধূ রেণুবালাদেবীর দুই পুত্র সন্তান মারা গেলে তিনি আর পূজা করতে আগ্রহী ছিলেন না। সেসময় তাঁকে বলা হয় পূজা করতে তবে, বলি প্রথা বন্ধ করে দিতে। তারপর থেকে সেই রীতিই চলে আসছে এখন আঁখ, চালকুমড়া ইত্যাদি বলি হয় এবং পুজোর চারদিন বড়বাড়ির সকলে নিরামিষ ভোজন করে। আগে অষ্টমীর দিন থেকে মানুষ চলে আসতেন নবমীর মোষ বলি দেখার জন্য।

নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য ছিলেন এই পরিবারের অন্যতম সাধক পুরুষ। কথিত আছে, বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের কাছে দীক্ষা নেন নতুনহাট নিকটবর্তী এক রাজ পরিবার। প্রাচীন রীতি অনুসারে আজও সেই পরিবার থেকে প্রেরিত গঙ্গা জলেই পূজা হয় দেবীর। মানকরের সুদীপ্ত পাল বলেন, ভট্টাচার্য পরিবারের বড় বাড়ির এই পুজোর স্থানীয় এলাকাজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। অষ্টমীর পুজো এবং জনসাধারণকে সেই প্রসাদ বিতরণ এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ।

আরও পড়ুনঃ বর্ধমান জেলায় মৎস চাষী দিবস উদযাপন

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here