নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২২ বছর বয়সী এক জওয়ানের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বায়ুসেনা আধিকারিকরা।
জানা গেছে মৃত জওয়ানের নাম সুমিত কুমার,২২বছরের ওই জওয়ানের বাড়ি হরিয়ানার ভিওয়ানি শহর লাগোয়া পটুয়াস এলাকায়। মাত্র দেড় বছর আগে বায়ুসেনার চাকরিতে নিযুক্ত হন তিনি। বর্তমানে সুরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। কী কারণে ওই জওয়ান গুলিবিদ্ধ হলেন তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে তার নিজের সার্ভিস রাইফেলের ইনসাস থেকেই যে গুলি ছুটেছিল সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আগুন জ্বালাতে চাইছে’, বাগডোগরা বিমান বন্দরে বললেন লকেট
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার মাঝ রাতে, যখন বায়ু ঘাঁটিতে প্রহরারত ওই জওয়ানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন তার সহকর্মীরা,ততক্ষনে অবশ্য প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়ে গেছে ওই জওয়ানের দেহ থেকে।
কলাইকুণ্ডা বায়ুঘাঁটির ভেতরে জওয়ানকে পড়ে থাকতে দেখে তার সঙ্গী জওয়ানরা দ্রুত তার দেহ ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এশিয়ার এই বৃহত্তম বায়ু ঘাঁটির বিশাল চৌহদ্দি পাহারা দিতে হয় এই নিরাপত্তা রক্ষীদের। ফলে এক জনের চাইতে অন্য জনের দূরত্ব বেশ কিছুটা দূর হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ৭২ ঘন্টার মধ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন
সেই কারণে ঘটনার সময় ওই জওয়ানের কাছাকাছি কেউ না থাকায় কী করে এই ঘটনা ঘটল তা জানা যায়নি। গুলি চলেছে জওয়ানের একদম বুকের বাঁ অংশে কালো বৃত্তের ওপর, ঠিক যার নিচেই হৃৎপিণ্ডের অবস্থান। গুলি হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে বগলের তলায় পাঁজরের অংশ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেছে।
বুকের ওই অংশে গান পাউডারেরও অস্তিত্ব মিলেছে ফলে বুঝতে অসুবিধা হয়না যে ব্ল্যাংক পয়েন্ট রেঞ্জ থেকেই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।
কিন্তু ওই জওয়ান কী আত্মহত্যা করেছেন? নাকি নিছকই দুর্ঘটনা! নাকি এর পেছনে অন্য কোন ঘটনা রয়েছে এখনও তা পরিষ্কার নয়। ওই যুবক টি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন বা অবসাদে ভুগছিলেন এখনও এমন কোনও সূত্র নিশ্চিত করা যায়নি। খড়্গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন “তদন্ত খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এখনও কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ চিনাদ্রব্য বাতিলে কী বাড়বে মাটির প্রদীপের চাহিদা! আশায় বেলদার মৃৎশিল্পীরা
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি কিছুই সঠিক করে বলা সম্ভব নয়। তার সঙ্গী ও বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। যুবকের মোবাইল ফোনটিও যাচাই করা হবে তারপরই জানা যেতে পারে প্রকৃত ঘটনা।”
ইতিমধ্যেই সোমবার দুপুরের পর ওই জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা সুদূর হরিয়ানা থেকে বিমান যোগে কলকাতা হয়ে খড়গপুর পৌঁছেছেন। ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিক প্রক্রিয়া সেরে সোমবার রাতেই বিমান যোগে তার দেহ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584