নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
জঙ্গলঘেরা এক ছোট গ্রাম ভুলা। সেই গ্রামেরই এক পরিযায়ী শ্রমিকের হাতধরে করোনা আক্রান্তের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললো শালবনী। পুলিশের তরফ থেকে গন্ডিবদ্ধ করা হল করোনা আক্রান্তের ওই গ্রামকে। আর এই ঘটনার সাথে সাথেই ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
শালবনী ব্লকের দেবগ্রাম -১ নং অঞ্চলের ভুলা গ্রাম। প্রায় পঞ্চাশ ষাটটি পরিবারের বাস এই গ্রামে। গ্রামে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা না থাকায় গ্রামের বেশ কিছু জন সোনার কাজের জন্য পাড়ি দেয় মহারাষ্ট্রে।
ভুলা গ্রামের আক্রান্ত বছর কুড়ির ওই যুবকও মহারাষ্ট্রে সোনার কাজ করতো। করোনার কারণে লকডাউন জারি হতেই বন্ধ হয়ে পড়ে কাজ৷ কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তাকে সেখানেই রয়ে যেতে হয়। তারপর গত ২২ শে মে জ্বর তৎসহ করোনার কিছু উপসর্গ নিয়ে গ্রামে ফেরে। তারপরই প্রশাসনের এবং গ্রামবাসীদের কথা মতো গ্রামের এক স্কুলের কোয়ারেন্টাইনে ছিল ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সঙ্গে চালু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
কিন্তু সেখানে থাকতে থাকতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪ শে জুন পুলিশ তাকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। তারপর সেখানে তার লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ সেই পরীক্ষার ফলাফল এদিন পজিটিভ আসার সাথে সাথেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ ফের দুর্যোগের আশঙ্কায় শঙ্কিত কৃষকরা
এদিকে আক্রান্ত ওই যুবকের গ্রামকে শালবনী থানা ও পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের দুই আইসি গিয়ে ওই এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন বা গন্ডীবদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘিরে দেয়। কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোনও করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। পাশাপাশি এই গ্রামে বাইরের কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। গ্রামবাসীদের কোন কিছু প্রয়োজন হলে তা মেটাবে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584