কৃষ্ণনগরে রাজ্য হস্তশিল্প মেলা উদ্বোধন

0
137

শ্যামল রায়,নদীয়াঃ

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের গভমেন্ট কলেজ মাঠে রাজ্য হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করলেন ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।এই রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস,জেলা পরিষদের সদস্য তারান্নুম সুলতানা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু সহ অনেকে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র ছোট মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র দপ্তর এর উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনকালে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছে যে “বাম আমলে ধুঁকতে থাকা আজকের হস্তশিল্প মেলার গুরুত্ব অনেকটা বেড়েছে।আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং তৎপরতায় আজকে হস্তশিল্প সাথে যুক্ত মহিলারা যথেষ্ট সম্মান এর সাথে আর্থিক উপার্জন করে সংসারে হাসি ফোটাচ্ছেন এবং সেই সাথে তাদের হাতের কাজের সামগ্রী এই ধরনের মেলা করে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।দিন দিন হস্তশিল্পের সাথে যুক্ত বহু মানুষ তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বা হয়েছেন।আমাদের সরকার আসার পর এই সব মানুষ ভালো করে বাঁচতে শিখেছেন। এর প্রধান কান্ডারী হচ্ছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অন্যদিকে রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন যে “হস্ত শিল্পীরা উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি করার জন্য বাজার পাচ্ছেন তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্যই এই ধরনের হস্তশিল্প মেলা করার কাজ করছে আমাদের সরকার।রাজ্যের প্রতিটি জেলার জন্য একটি করে প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে।নদীয়া জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন যে হস্ত শিল্পীদের জন্য পেনশন সহ নানান প্রকল্প রাজ্য সরকার হাতে নিয়েছে এবং সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন উপভোক্তারা।এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণের কোন খরচ লাগছে না।কৃষ্ণনগরের এই রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় এবার জেলার ১৫৩ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।মেলা প্রাঙ্গণে কালিম্পং ও ঝারগ্রাম ছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলার জন্য একটি করে প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছে প্যাভিলিয়ন গুলোতে সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে উৎপাদিত হস্ত শিল্প গুলি রাখা হয়েছে এর মুখোশ থেকে মাটির পুতুল বাঁশ-বেত ধান প্রভৃতি দিয়ে নানান হস্তশিল্প রয়েছে।নদীয়া জেলার দুটি স্টলে মোট ১৫৩ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে এই সকল রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় যারা অংশগ্রহণ করছেন সেই সমস্ত শিল্পীদের থাকা খাওয়ার খরচ সরকার বহন করছে।
জেলায় হস্ত শিল্পীদের জন্য গত ৮ বছরে ৪১০৫ ইউনিট গড়ে উঠেছে।মোট হস্তশিল্পী সংখ্যা  ১৪ হাজার ৮৮৬ জন।বছরে লেনদেন হয় ২৪ কোটি টাকা।এক হাজার ৮১ জন শিল্পী কে দেয়া হয়েছে ক্রেডিট কার্ড।একশ কুড়িজন ষাটোর্ধ্ব হস্ত শিল্পীকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।এছাড়াও হস্ত শিল্পীদের সরকারি পরিচয় পত্র দেয়া হয়েছে।আরো জানা গিয়েছে যে হস্ত শিল্পীরা এখন অনলাইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন অনলাইন এই পরিচয় পত্র পাওয়া যায়।

ফিচার ছবি প্রতীকী।

আরও পড়ুনঃ তিনশো বছরের কালীপুজোয় নেই আরতির প্রচলন

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here