মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
সাংগঠনিক স্তরে পরিবর্তন আনল তৃণমূল। এখন আর ব্লক কমিটি নয়, বিধানসভা কেন্দ্রিক কমিটি গঠন করে দল পরিচালনা করবে তৃণমূল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবে বড় রকমের ধাক্কা খাবার পর তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে নতুন ভাবে তাদের সাংগঠনিক কমিটি গঠন করছে। যেসব এলাকায় তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে, সেই সমস্ত কেন্দ্র গুলিতে বিধায়ককে চেয়ারম্যান করে নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে কোচবিহারে। যদিও ৯ বিধানসভা কেন্দ্রের কোচবিহার শিতলখুচি ও দক্ষিন কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করতে পারল না দল। বুধবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটি ঘোষণা করলেন দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ।
এই কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে বিধানসভা কেন্দ্র গুলিতে একই রকম পদ্ধতি অবলম্বন হয়নি। কোনও কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান কো-চেয়ারম্যান রয়েছে, কোথাও বা রয়েছে আহ্বায়ক। কোথাও বা রয়েছে ডেপুটি চেয়ারম্যান।
যদিও এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, মূলত এই কমিটি গঠন করেছে এলাকার বিধায়করা। তাদের কাজের সুবিধা যে কমিটি তৈরি করেছে আমরা তাকেই মান্যতা দিয়েছি। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক না থাকায় সেখানে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষিত হয়নি। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি ফরোওয়ার্ড ব্লকের দখলে রয়েছে। অন্যদিকে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে কেন এখনও কমিটির নাম ঘোষণা কড়া গেল না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এবিষয়ে বিনয়বাবু বলেন, ওই বিধায়করা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চেয়েছেন বলেই এদুটি বিধানসভা কেন্দ্রে কমিটি ঘোষণা করা গেল না।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের নেতৃত্বে এনআরসি-র বিরুদ্ধে পদযাত্রা জলঙ্গিতে
লোকসভা নির্বাচনে ফল কার্যত হতাশ করেছে তৃণমূলকে। এরপরই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে দলের পরামর্শ দাতা হিসাবে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। এবারে সাংগঠনিক পর্যায়ে এই রদবদল পিকে ফর্মুলা কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। তবে এই ফর্মুলাতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কিছুটা রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584