কার্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
যে যে ভাষায় কথা বলবে তাকে সে ভাষায় উত্তরদিন,যে চোখ দেখাবে তাকে চোখ দেখান ,পুলিশ যদি কেস না নেয় পুলিশ যদি গুন্ডা দের সহোযোগিতা করে পুলিশ কেও কাজ করতে দেবনা গ্রামে ঢুকলে বেঁধে রাখব গাড়ি আটকে রাখব ঝাড়গ্রামের সভাতে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ। তিনি আরো জানান আমরা বলেছিলাম জঙ্গলমহলকে টিএমসি শুন্য করে দেখান আজকে জঙ্গলমহল সেটা করেছে যেটা বাকি আছে সেটা উনিশে করে দেখাব । আর এই যে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে টিএমসির ভিত কেঁপে গেছে ,ব্লকে ব্লকে বিডিও ,ডিএম ,এসপি পরিবর্তন করেছে কেন ? বলেছিল তোমরাই করে দেবে বিরোধী শূন্য বিজেপি কে জিততে দেওয়া চলবেনা ,বিজেপি জিতে গেছে। বলছে কি করতে তোমাদের রেখেছি বিজেপিকে হারাতে পারলেনা যাও দার্জিলিং চলে যাও ,এই সামান্য কটা শিট পেয়েছি তাতেই টিএমসির ভিত কেঁপে গেছে।আজকের সভায় দিলিপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জয় ব্যানার্জী,তুষার মুখার্জী ,বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী ,সুখময় শৎপতি,জয় প্রকাশ মজুমদার।
আজকে সাত দফা দাবি নিয়ে ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক কে ড়েপুটেশন দিল বিজেপিঃ
(১) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলায় যে সন্ত্রাসের বাতাবরন চলছে অবিলম্বে এই সন্ত্রাসের আবহাওয়াকে বন্ধ করে ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ যাতে মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে তার পরিবেশ স্থাপন করে গনতন্ত্র কক্ষা করতে হবে।
(২) ভোট ও তার পরবর্তি সময়ে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত চক্রান্ত করে সুপরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলা আরােপ করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
(৩) ভােট পরবর্তী সময়ে আমাদের জেলা কার্যালয়ে আক্রমনের যে জঘন্যতম ষড়যন্ত্র তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা করেছিল তাদের নামে ফীড় করা সত্ত্বেও সেই সমস্থ দুষ্কৃতি ব্যক্তিরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের
অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
(৪) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ণমিনাতিওন থেকে আজ পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের যত সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে তার ক্ষতিপূরনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
(৫) পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী ভারতীয় জনতা পার্টির পার্থীদের ওপর যেভাবে চমক-ধমক সহ প্রাণনাশের হুমকি সহ মানষিক ও অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে নচেৎ আমারা আমাদের সমস্থ জয়ী পার্থীদের আপানার দায়ীত্বে অর্পণ করবাে, যাদের সমরকম সুরক্ষা সহ যাবতীয় দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে।
(৬) ভােট পরবর্তী সময়ে ঝাড়গ্রাম জেলার, জেলা পরিষদ সহ সমস্ত বিডিয়ো ও অঞ্চল গুলিতে যে টাকা এখনাে আছে, বিভিন্নস্তরের পশাসনিক ব্যক্তিরা ঠিকাদার ও তৃণমূলী নেতাদের কাছে কাটমানি খেয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করার যে প্রচেষ্টা তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
(৭) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঝাড়গ্রাম জেলায় জনগনের ঐতিহাসিক রায়কে উপেক্ষা করে সার্বিক স্তরের প্রশাসনের বিশেষভাবে উল্লেখিত সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ প্রশাসন সহ তৃণমূল দলের যে কৃত্রিম আবাহাওয়া ও প্রেক্ষাপট তৈরী করার প্রচেষ্টা করে সাধারন জনগণের মতদানের মত দেশের গনতন্ত্র ও সংবিধানের উপর বিশ্বাস নিয়ে যে ছিলিমিলি খেলা হচ্ছে তা আপনার হস্তক্ষেপে আবিলম্বে বন্ধ করে ঝাড়গ্রাম জেলার পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখাতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584