নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। সকালের দিকে জেলাবাসী বাজারে বেরোলেও, তারপর থেকেই পথঘাট জনমানবহীন। তবে লকডাউনের সময়ে জেলাবাসীকে বাড়ির মধ্যে থাকার জন্য পুলিশকে আবেদন করার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি করার জন্য রাস্তায় বিউগল বাজিয়ে গান করা, নাকা চেকিং সহ প্রতিটি এলাকায় হানা দিতেও দেখা গেছে জেলা প্রশাসনকে।
জেলার গুড়গুড়িপাল থানা এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ গ্রামবাসীকে চাল, আলু, সবজি বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ন্যায্য মূল্য দোকানের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের খাদ্যদ্রব্য সুষ্ঠু ভাবে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে মাস্ক তৈরিতে ব্যস্ত বাঁকুড়ার পুরপিতা নীলাদ্রি
ভিন জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে যাওয়া স্থানীয় ৩৪ জন গ্রামবাসী গ্রামে ফিরে আসার পরেই তাদের চারটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আপাতত ১৪ দিনের জন্য পৃথক করে রাখা হয়েছে।তবে মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এদের খাবার দেওয়া সহ দৈনন্দিন সমস্ত চাহিদা মেটানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মনিদহ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা।
অন্যদিকে, জেলা শহর মেদিনীপুরে করোনা ভাইরাসের সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য রাস্তার মোড় গুলিতে পথ চিত্র এঁকে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।এমনকি এ বিষয়ে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা টাউনবাবু চঞ্চল সিংহের সহযোগিতায় শহরের ১৫ টি ক্লাবের উদ্যোগে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিদিন দুবেলা পেট ভর্তি আহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চা-বাগিচা খোলার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের
জানা গেছে, জেলার দাসপুর এবং দাঁতনের দুটি গ্রামে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর গ্রাম দুটি প্রশাসনের উদ্যোগে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে আয়ুস হাসপাতাল ও একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই করোনা হাসপাতালে পরিণত করে, সম্ভাব্য রোগীদের চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জেলাতে মোট ৭৮টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছে প্রশাসনের উদ্যোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শো জন রোগীকে আইসোলেশন এ ভর্তি রাখা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584