নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
করোনা পরিস্থিতি সংকটকালে ফেসবুক পোষ্টে রেসপন্স করে রোগীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন শিক্ষক মিলন আঢ্য ও বাচিক শিল্পী চিত্তরঞ্জন দাস। চন্দ্রকোনা টাউনের পাশে দাঁড়ালো মেদিনীপুর শহর।
বুধবার সকালে চিকিৎসক ডাঃ এস সিনহা রায় সূত্রে চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক ও সমাজকর্মী সুদীপ কুমার খাঁড়ার কাছে খবর আসে পাথরঘাটায় অবস্থিত গ্লোকাল হাসপাতালে কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন চন্দ্রকোনা টাউনের মেটালা গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের যুবক সুশান্ত পালের ডায়ালিসিসের প্রয়োজনে দু-ইউনিট A+ গ্রুপের রক্তের জরুরি প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে রেশন কার্ড না থাকলেও মিলবে খাবার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ওর ভাই সৌমেন পাল দুদিন ধরে হন্যে হয়ে রক্ত খুঁজছেন। একদিন আগেই সুদীপ বাবুর করা A+ রক্তের চাহিদা সংক্রান্ত ফেসবুক পোষ্টে রেসপন্স করে রক্তদানে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের কর্ণেলগোলার বাসিন্দা শিক্ষক মিলন আঢ্য এবং নজরগঞ্জের বাসিন্দা বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও কাব্য ও কলার অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দাস।
তাঁদের ফোনে যোগাযোগ করেন সুদীপ বাবু । তৎক্ষণাৎ দুজনেই রাজি হয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংক এসে রক্তদান করে যান।
আরও পড়ুনঃ মেন্দাবাড়ির কালচিনি সরকারি হিন্দি হাই স্কুলে চলছে কোয়ারেন্টাইন সেণ্টারের কাজ
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে এস এফ আই নেতৃত্ব প্রসেনজিৎ মুদি সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, গড়বেতার বাসিন্দা এবং মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন অলোকানন্দা রায়ের A+ রক্তের প্রয়োজনে ফেসবুক পোষ্ট করেছিলেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
সেই পোষ্ট দেখে এগিয়ে এসে রক্তদান করেন মেদিনীপুর শহরের তাঁতি গেড়িয়ার বাসিন্দা পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় অধ্যাপক অতনু ব্যানার্জী।
এক্ষেত্রে গড়বেতার পাশে দাঁড়ালো মেদিনীপুর শহর। সমস্ত রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোগীর পরিজনের, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তদাতাদের স্যালুট জানিয়েছেন সোশ্যাল সাইডের দর্শকরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584