শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।আর এই সকল উৎসব ঘিরে এই গরীব মানুষ আশা করেন সরকারি কিছু সুযোগ-সুবিধা।বহু গরিব মানুষের কাছে রেশন ব্যবস্থা টা অনেকটাই তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।দুর্গাপুজো পেরিয়ে গেলেও রেশনে চিনি ও ময়দা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।জানা গিয়েছে যে নদীয়া জেলা তে শনিবারেও শুধুমাত্র চাল আর আটা দেয়া হয়েছে রেশন থেকে।ইতিমধ্যেই গ্রাহকরা কেরোসিন তেল থেকে শুরু করে ময়দা এবং চিনি পাচ্ছেন না ফলে অনেক গরীব মানুষ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গিয়েছে যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উৎসবের মরসুমে দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে চিনি ও ময়দা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন,কিন্তু খাদ্য দপ্তর অন্তদয় ও স্পেশাল রুটির হাউজহোল্ড এর পরিবার ৫০০গ্রাম করে চিনি এবং ময়দা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। বিভিন্ন জায়গায় চলছে শুধুই বিজ্ঞাপনের ঘোষণা,কিন্তু আদৌ দুর্গাপূজো ও লক্ষ্মীপূজো পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত চিনি বা ময়দা আসেনি বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।নদীয়া জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে জেলা তে বারোশো ছিয়াশি টি রেশন দোকান রয়েছে। রেশন ডিলারের জানিয়েছেন যে কিছু দোকানে রাইস ব্রান অয়েল ও সত্যের এসেছে কিন্তু ওই দুই ধরনের তেলের দাম যা ধার্য করা হয়েছে তার দাম খোলা বাজারের তুলনায় অনেক বেশি তাই গ্রাহকরা ওই তেল নিতে ইচ্ছুক হবেন না বলে তারা তোলেননি।তাই অনেক জায়গায় ডিলারদের অভিযোগ যে তাদের অনেক সময় গ্রাহকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে কারণ সকল গ্রাহক চান খোলা বাজার থেকে অনেকটা কম দামে যেন রেশন থেকে তারা পণ্য সামগ্রী পেতে পারেন। কিন্তু তা যদি না হয় তাহলে তারা খোলা বাজার এর থেকে বেশী দামে রেশন সামগ্রী তুলবেন কেন এই প্রশ্ন উঠেছে গ্রাহকদের মধ্যে।উৎসবের জন্য বরাদ্দ চিনি ও ময়দা সরবরাহ না করায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ জমছে।এ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য দপ্তর এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে উৎসবের মরশুম এর জন্য বরাদ্দ হওয়া চিনি ময়দা এলাকায় সরবরাহ হয়নি কিন্তু বহু জায়গায় সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক লতিফ শেখ জানিয়েছেন তবে বিভিন্ন জায়গায় কেন চিনি ময়দা গ্রাহকরা পাননি সে ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুনঃ নিত্য নৈমিত্তিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584