রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ
কথায় আছে বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’; আর এই তেরো পার্বণের এক বিশেষ পার্বণ হল পৌষ পার্বন। এর বিশেষ আকর্ষণ নানা ধরনের পিঠে-পুলি-পাটিসাপটা।
একটা সময় ছিল যখন ঠাকুমা দিদিরা একান্নবর্তী পরিবারের সমস্ত মহিলাদের নিয়ে দিন ব্যাপি নানান স্বাদের, নানান ধরনের পিঠে, পুলি, পাটিসাপটা, রসবড়া বানাতেন, আর বাড়ির ছোটরা হাতে বাটি নিয়ে একের পর এক ধরনের খাবার টপাটপ মুখে ভরত। কিন্তু আজ আর সেই পরিবেশ নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুনঃ মকরসংক্রান্তির পূর্ণস্নানে ভিড় বাড়ছে দীঘা সৈকতেও
বাঙালিরা সেই রেওয়াজ ধরে রাখতে হয়তো সময় বের করে ২-৩ রকমের মিষ্টান্ন বানিয়ে থাকে। আবার অনেকের বাড়িতে বানানোর রীতিটাই হারিয়ে গেছে। তাই মিষ্টির দোকানই ভরসা বলা যেতেই পারে।
বহরমপুরের এক বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রেতা অরুন দাস জানান, ব্যস্ততার কারণে আজকাল যেহেতু বাড়িতে আগের মতো পিঠে পুলি তৈরি হয় না, তাই তারা দোকানে ভিড় করে।
আরও পড়ুনঃ মাদুরকাঠির নার্সারিতে স্বনির্ভর কৃষক, সর্বভারতীয় পুরস্কারে ভূষিত দক্ষিণ দিনাজপুর
পুলি পিঠের পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষণ, ম্যাঙ্গো, ওরেঞ্জ, চকোলেট এই তিন ফ্লেভারের সংযোজন করেছেন এ বছর।
দোকানের এক ক্রেতা লেসার দাস জানান, সময়ের অভাবে এখন এগুলোই বাড়িতে তৈরি হয় না। দোকান থেকে কিনলেও বাড়ির তৈরি পিঠের স্বাদের মজা আলাদা। তবে বিভিন্ন ফ্লেভারের পিঠে বা পাটিসাপটা বাজারে মন্দ চলছে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584