নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ
১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে পুরুলিয়ার বরাবাজার থানায় খবর আসে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুচিত্রা সিং-এর কোয়ার্টার থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে, কিন্তু চিকিৎসক বা তাঁর পরিবার গত কয়েকদিন ধরে কোয়ার্টারে নেই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বরাবাজার থানা আধিকারিকরা। তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাঁরা উদ্ধার করেন সুচিত্রার পচাগলা মৃতদেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা যায়, প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে সুচিত্রাকে। মৃত চিকিৎসকের ভিসেরাও পাঠানো হয়েছে টক্সিকোলজির জন্য। মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডাঃ সুচিত্রা সিং-এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিনারা করে বরাবাজার থানার পুলিশ।
ঠিক কি হয়েছিল সুচিত্রার সাথে? গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলের পর আর দেখা যায়নি সুচিত্রাকে। ১৪ তারিখ ভোরে পুত্র সন্তানকে নিয়ে বরাবাজার ছাড়েন সুচিত্রার স্বামী শান্তনু পাল। যদিও তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল শান্তনু পালের ওপর। তদন্তের শেষে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শান্তনু পাল সুচিত্রাকে বিয়ে করার আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। সে কথা সুচিত্রা বা তার পরিবারের কেউ যেমন জানতেন না একই ভাবে শান্তনুর প্রথম স্ত্রীও সুচিত্রার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। ইতিমধ্যে শান্তনু প্রচুর পরিমাণ ট্রাঙ্কুইলাইজার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বর্তমানে তিনি ভর্তি রয়েছেন ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের ICU তে। সুচিত্রার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভুবনেশ্বরেও পৌঁছে যায় বরাবাজার থানার পুলিশ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে শান্তনুকে।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ার বরাবাজারে চিকিৎসক হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়, অসামান্য সাফল্য পুলিশের
আজ সকালে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল বরাবাজারে সুচিত্রার কোয়ার্টারে নমুনা সংগ্রহের জন্য যায়। সে ছবিও উঠে এসেছে নিউজ ফ্রন্টের ক্যামেরায়। নিউজ ফ্রন্টের প্রতিবেদনেই প্রথম উঠে এলো ডাঃ সুচিত্রা সিং হত্যার মূল অভিযুক্ত তার স্বামী শান্তনু পালের ছবি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584