পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
মারন সংক্রামনের জেরে যখন মানুষ গৃহবন্দী তখন নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বীরভূম জেলা পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গেও চলছে সম্পূর্ণ রাজ্যব্যাপী নিরাপত্তাজনিত বিধি-নিষেধ। এরকম অবস্থায় বীরভূম জেলা পুলিশ বীরভূম বাসীর সুবিধার্থে নিয়ে এসেছে “পুলিশ বন্ধু” প্রকল্প।
আরও পড়ুনঃ নিজের আর্থিক তহবিল থেকে দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন,লোকসভার সাংসদ
যাদের ছেলে-মেয়েরা বাইরে রয়েছে, বাড়িতে বাবা-মা একা, যারা অসহায়, যাদের বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই, যারা অসুস্থ তাদের জন্য এই প্রকল্প। উক্ত ব্যক্তিরা নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক যে কোনো জিনিস যদি না পান বা ব্যবস্থা করতে না পারেন তখন পাশে পাবেন পুলিশ বন্ধুকে। যেকোনো জরুরী কালীন পরিষেবা পেতে ৭৬০২৬৭৬৫০০/৭৬০২৬৭৬৭৭৭ নম্বরে কল করলেই পুলিশ বন্ধু পৌঁছে যাবে তাদের দোরগোড়ায়।
ইতিপূর্বে উল্লেখযোগ্য যে ২০১৭ সাল থেকে বীরভূম জেলা পুলিশ, শান্তিনিকেতন এলাকার বয়স্ক এবং একাকি ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থেকে জরুরীভিত্তিক আপদ কালীন পরিষেবা দেওয়ার জন্য “আশ্বাস” প্রকল্প শুরু করে। পরবর্তী সময়ে একই রকম ভাবে রামপুরহাট থানা এলাকার ১৮ টি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ টি বয়স্ক এবং একাকি পরিবারকে যুক্ত করা হয়েছিল “সম্মানীয়” প্রকল্পে।নিরাপত্তাজনিত বিধি-নিষেধ চালু হওয়ার পর সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ঔষধও সরবরাহ করা হচ্ছিল।
এবার বীরভূম জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে বৃহত্তর পরিসরে তুলে ধরার জন্য সমগ্র জেলা জুড়ে শুরু হলো “পুলিশ বন্ধু” প্রকল্প। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন পুলিশ সমাজের সর্বস্তরে বিরাজমান। অপরাধ দমন থেকে শুরু করে প্রবীণ মানুষদের পাশে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ একমাত্র ভরসা। বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে পুলিশ বন্ধু প্রকল্প টি বীরভূমে সমস্ত থানা এলাকায় শুরু করা হলো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584