সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের দরিয়াপুর গ্রাম আর পাঁচটি গ্রামের মতই সহজ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এখানকার মানুষেরা। কিন্তু গ্রামটির বিশেষ বৈচিত্র্য হল এখানেই ডোকরা শিল্পের আঁতুড়ঘর। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার যাযাবর সম্প্রদায় একটা সময়ে ঘুরতে ঘুরতে এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন তাদের হাত ধরেই এখনো বেঁচে আছে শিল্পটি।এলাকার বেশ কয়েকজন শিল্পী জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।
ইতিহাসের শিক্ষকরা বলে থাকেন মানুষ যখন পাথরের যুগ পেরিয়ে ধাতুর যুগে পা রেখেছিল, সেই সময়ের শিল্পকর্ম এই ডোকরা। মোম গলিয়ে ছাঁচ তৈরি করে তামা, কাঁসা, পিতল ঢালাই করে এই কাজ করা হয়। বানানো হয় মূর্তি, পুতুল, পায়ের ঘুঙুর, দুল নানা অলঙ্কার এমনকি বাসন, কোসা প্রভৃতি। কিন্তু উচ্চ মানের শিল্পী এবং জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়া সত্ত্বেও দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই থামেনি এখানে। তাই একদিকে সংসার চালানো যেমন কষ্টকর হচ্ছে অন্যদিকে নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে এই কাজে। অভিযোগ এখান থেকে তৈরি মাল কিনে বাইরে বিক্রি করে লোকেরা অনেক গুণ লাভ করছে অথচ তাঁরা জিনিসের দাম ঠিক মতো পাচ্ছেন না।
সরকারি সংস্থা খাদি এবং বাংলা নাটক ডট কম নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্তমানে এই ডোকরা শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দরিয়াপুরে ডোকরা শিল্প নিয়ে একটি মিউজিয়ামও তৈরি করা হয়েছে। তবে সরকার যদি আর একটু নজর দিত তাহলে শিল্প এবং শিল্পী দুটোই বেঁচে থাকবে স্বচ্ছল ভাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584