সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ার গ্রামে গত দুদিন আগে দু’দলের মধ্যে বোমাবাজি হয়েছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন পুলিশকর্মী।
এই ঘটনার পরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে গতকাল এরুয়ার পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের দদিপাড়ায় একটি ঝোপের ভিতর বাজারের থলি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁরা ঐ থলিতে বোমা রয়েছে বলে দেখেন। পুলিশকে জানানো হলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং ১১টি বোমা উদ্ধার করে সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর পরেই পুলিশ ওড়গ্রাম ১ নম্বর কলোনিতে তাড়া করে দুই অপরিচিত মোটর বাইক আরোহীকে ধরে।
পুলিশের দাবি,গোবিন্দ মিদ্যা এবং সঞ্জয় মন্ডল নামে রামপুরের দুজনের কাছে একটি পাইপগান এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে,সাথে মোটর বাইক ছিল।
যদিও তাদের দাবি, মোটরবাইকটি তাদের নয়। পুলিশ মোটর বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।কি কারণে তারা ওড়গ্রামে এসেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
এই ঘটনার পর এই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।তৃণমূল দাবি করছে দুষ্কৃতীরা বিজেপির কর্মী।
তৃণমূল নেতা মানগোবিন্দ অধিকারীর দাবি,তাঁদের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে পাইপগান দেখিয়ে ভয় দেখাতে গিয়েছিলেন। আশেপাশের লোকজন দেখে ফেললে তারা পালিয়ে যান। এরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে তাঁর অভিযোগ।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভাতারের ৩৩ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণদাস সিংহ। মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে, তৃণমূলের অত্যাচারে এই এলাকার মানুষজন ঘরছাড়া বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি ইস্যুতে প্রধানের বাড়ি ঘেড়াও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসিদের
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন,বোমা কিভাবে এলো তার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ওই দুই যুবক কিভাবে অস্ত্র এবং কার্তুজ পেলেন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584