নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
কথায় আছে না “রাখে হরি মারে কে” চিন্তা ধারণা ছিল সমাজের মূল বিষয়বস্তুর উপর কবিতা,উপন্যাস লিখে প্রশাসনের উচ্চ কর্তাদের চোখে আনা,অনেকবার এই সব বিষয়বস্তুর উপর অনেক কবিতা উপন্যাস লেখার মধ্যে দিয়ে সেই ভাবনাকে পরিস্ফুট করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি, অবশেষে ভাবতে পারেননি তিনি তার লেখা কাব্য রাষ্ট্রপতির মূল্যবান ৩০ মিনিট গ্রাস করে নেবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার বাসিন্দা সুখেষ মন্ডল, পেশায় কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটালের কাজ করে থাকেন সুখেষ বাবু। সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর রাতে অবসর সময়ে গল্প উপন্যাস লেখেন তিনি। মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার পরিকাঠামো নিয়ে কাব্যগ্রন্থ লেখা শুরু করেন সুখেষ বাবু। মূলত ছাত্র-ছাত্রীর মূল কাঠামো হচ্ছে পড়াশুনো আর সেই পড়াশোনার ভিতকে মজবুত করতে দরকার একজন দক্ষ শিক্ষকের। কিন্তু সেই শিক্ষক টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ নারী দিবস উপলক্ষে রক্তদান শিবির
যার শিক্ষকতার করার অধিকার নেই। তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ যার শিক্ষকতা প্রতিভা রয়েছে তিনি শিক্ষকতা করতে পারছেন না, কারণ তার কাছে টাকা নেই। সেই বিষয় নিয়েই লেখা শুরু করেন যার মূল নাম দেন “পন্ডিত”।
আর এতেই মুগ্ধ হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি আর.কে গোবিন্দ। কিছুদিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে ফোন আসে তার কাছে, জানা যায় এই কাব্যগ্রন্থ পড়ে যথেষ্ট মুগ্ধ হয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এরপর তাকে এই বিষয় নিয়ে ডাকা হয় রাষ্ট্র ভবনে, আর এই বিষয় জানার পরে খুশির আকাশ ভেঙে পড়ে সুখেষ বাবুর উপর। এরপর রাষ্ট্রপতির বার্তা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেন সুখেষ বাবু, রীতিমত ৩০ মিনিট সময় কাটান রাষ্ট্রপতি সুখেষ বাবুর সাথে।
সুখেষ বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী যখন তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছিলেন তখন রাষ্ট্রপতির এক দেহরক্ষী তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার এই কর্মকে যথেষ্ট সাধুবাদ জানান তিনি, আর এতেই খুশি হয়ে চোখের জল নেমে আসে সুখেশ বাবুর চোখ থেকে।
যেভাবে বাস্তব জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন কুকর্ম সহ বর্তমানের সমাজের নিয়ে লিখে এতটা গর্বিত হবে তিনি আগে ভাবতে পারেননি, তবে আগামী দিনে তার এই লেখক-এর ভাবনা আরো যে মজবুত হয়েছে তা বলা বাহুল্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584