সুশান্ত প্রসঙ্গে টলিউডের বেগম-বাদশার প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ শ্রীলেখার

0
159

নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ

সুশান্ত সিং রাজপুতের চলে যাওয়া নিয়ে সাধারণের রোদনের যেমন শেষ নেই তেমনি বলি-টলি ইন্ডাস্ট্রিও বেশ ভেঙে পড়েছে এই ঘটনায়। বেশ কিছুদিন ধরে তারকারা নিজেদের লড়াই করে উঠে দাঁড়াবার, ঘুরে দাঁড়াবার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কখনও কোনও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। কেউ আবার স্বজনপোষণ প্রসঙ্গেও তুলেছেন কথা।

Sreelekha Maitra | newsfront.co

তবে, গতকাল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারে যে বোমা ফাটালেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তা বেশ সাড়া জাগিয়েছে সাধারণের মনে। মানুষ আজ সামাজিক মাধ্যম নির্ভর। এমন কোনও খবর নেই যা তাদের অবগত নয়।

ফিরে আসি শ্রীলেখা প্রসঙ্গে। সুন্দরী, গ্ল্যামারাস, মিষ্টি স্বভাবের অভিনেত্রী তিনি। ছোটপর্দা এবং বড়পর্দা দুই জায়গাতেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু দক্ষতাই কি শেষ কথা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে? নাকি এর জন্য আরও বেশি পরিমাণে দরকার স্বজনপোষণ? এই প্রসঙ্গেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে মুখ খুললেন তিনি। বললেন একের পর এক কাজ থেকে অকারণে বাদ পড়ার কথা।

তাঁর কথায়, আমার কোনও গডফাদার ছিল না। কোনও প্রযোজক, পরিচালক কিংবা হিরোর সঙ্গে আমার কোনওদিন প্রেম গড়ে ওঠেনি। ভাল কাজ পাওয়ার জন্য আমায় অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। গডফাদার হল সেই ব্যক্তি যে কিনা কোনওকিছুর বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেবেন। আমার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। যোগ্যতা থাকা সত্তেও নায়িকার চরিত্র পাইনি। দেরি করে এসেও তা ঋতুপর্ণা পেয়েছেন। সেই সময় প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’র প্রেম তুঙ্গে। ফলে, নায়িকার চরিত্র তিনিই পেতেন। ফলে, টেলিভিশনেই বেশি কাজ করেছি আমি।

আরও পড়ুনঃ লর্ড অফ দ্য রিংস ও এলিয়েন খ্যাত অভিনেতা স্যার ইয়ান হোমের জীবনাবসান

‘সাগর বন্যা’ ছবির জন্য শুটিঙে যাওয়ার সময় আমি দুর্ঘটনার মুখে পড়ি। হাসপাতালেও ভর্তি হই। আমার মাও আহত হন সেদিন। বুম্বা’দা সেদিন আমায় দেখতেও যাননি। এরপর ‘অন্নদাতা’ ছবির জন্য অশোক ধানুকা আমায় সই করান। পরে ফোন করে বলেন আমি ছবিটি থেকে বাদ।

কারণ প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি বলেছেন আমায় দেখতে কেউ সিনেমা হলে যাবে না। পরে অবশ্য ছবিটা আমিই করি। আর সেটা হিট হয়। শুটিঙের সময় আমি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এড়িয়ে ফিরদৌসের সঙ্গে কথা বলায় তাঁর গায়ে লেগেছিল। সেই সময় ঋতুপর্ণার সঙ্গে বুম্বাদার একটা সমস্যা চলছিল। তাই সেখানে কাজটা আমিই করি শেষ অবধি।

আরও পড়ুনঃ টুইটারে সবাইকে আনফলো করে এখন মাত্র ৮ জনকে ফলো করছেন করণ জোহর

ঋতুপর্ণাও একবার অর্জুন চক্রবর্তীর একটি ছবি থেকে আমায় বাদ দিতে বলেছিলেন। অর্জুন দা অবশ্য সেটা করেননি। ক্ষোভ এখানেই শেষ নয়, সৃজিত মুখার্জি, শিবপ্রসাদ মুখার্জি, কৌশিক গাঙ্গুলির ছবিতেও কাজ না করতে পারার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

সুশান্ত সিং-এর মতো ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে সেই কারণেই এতগুলো কথা বলা, থুড়ি মুখ খোলা বলে জানিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখার বক্তব্যের পর মুখ খুলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অশোক ধানুকা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here