নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
করোনা ও লকডাউনের কারণে ধাক্কা খেয়েছে উপার্জন। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো বাজারে ফল ফুল সবজি থেকে প্রতিটি জিনিসের দামই আকাশ ছোঁয়া। যা কিনতে গিয়ে পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার জোগাড় গৃহস্থের। তবে ধনদেবীর আরাধনায় কোনওরকম কার্পণ্য করতে রাজি নন বাঙালি। সাধ্যমতো জোগাড় করে লক্ষ্মীপুজোয় মেতে উঠতে চান ঝাড়গ্রামবাসী। তার জন্য ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
শুক্রবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রামের এদিন বিভিন্ন বাজারে ফল, সবজি দাম ছিল আগুন। এদিন সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় ফল ও ছাঁচের প্রতিমা, চাঁদমালা সহ বিভিন্ন পুজোর উপকরণ কেনার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় করেন। এক ব্যবসায়ী বলেন, ফল, ফুল থেকে শুরু করে প্রতিমা সবকিছুরই দাম গতবছরের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। কিন্তু, দাম বাড়লেও উপায় নেই। লক্ষ্মীপুজো তো করতেই হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা থাবায় সংকটে পট শিল্পীরা
এদিন ঝাড়গ্রাম ফল বাজারে আপেল প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, নাশপাতি ১৫০ টাকা, নারকেল ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, কলা ৪০ টাকা ডজন দামে বিক্রি হয়েছে। পানিফল ৬০ টাকা, পেয়ারা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ফুলকপি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আবহে লক্ষ্মী পুজোর প্রাক্কালে অগ্নিমূল্য সবজি বাজার
এদিন জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এদিন বাজারে নারকেলের দাম অন্য দিনের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। দশকর্ম জিনিসেরও বেশ কিছুর দাম চড়া ছিল। এদিন বেদানা ১৪০ টাকা কেজি। কলা ৩০ টাকা ডজন। আপেল ৮০ টাকা কেজি দরে এদিন বিক্রি হয়। কমলালেবু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলের মতো বেশকিছু সবজির দামও বেড়েছে। বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস বিক্রি হয়। বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দশকর্ম দোকানগুলির পাশে অস্থায়ীভাবে মৃৎশিল্পীরা ছোট, বড়, মাঝারি আয়তনের লক্ষ্মী প্রতিমার পসরা সাজিয়ে বসেন। প্রতিমার দামও গতবারের তুলনায় বেশি ছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584