মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
মাথাভাঙা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃগুরুচরণ দাসের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগ, নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠক নিয়ে কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র বর্মণের মতানৈক্য তৈরি হয় গুরুচরণ বাবুর। আর সেই কারণেই তিনি তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তিন মাসের ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যান। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্যের দায়িত্ব নিয়েছেন ডঃ শ্যামকুমার ঝা।
মোবাইলে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে গুরুচরণ বাবু বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার সময় বলেছিলাম, বয়স হয়েছে। অসুস্থ থাকি। তাই যে কোন সময় দায়িত্ব ছাড়তে পারি। এছাড়া কলেজের অভ্যান্তরীন কিছু বিষয় আছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। সেসব আর বলতে চাইছি না।”
আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত সহকারী অধ্যাপক,অধ্যক্ষের প্ররোচনা বলে অভিযোগ
তবে ঘনিষ্ঠ মহলে গুরুচরণ বাবু জানিয়েছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক সম্পর্কে স্থানীয় বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণের কিছু পরামর্শের কথা তুলে ধরতেই কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র বর্মণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মন্ত্রী নন, তিনি যে ওই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তা উল্লেখ করেন বলে জানা গিয়েছে। আর ওই বৈঠকের পরেই অসুস্থার কথা জানিয়ে পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে গুরুচরণ বাবু তিনি মাসের ছুটিতে চলে যান।
এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে পরিচালন কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, “একটি মিটিং ডাকতে বলা হয়েছিল ওনাকে। কিন্তু উনি আপত্তি জানান। কি কারনে সেই আপত্তি, এটা জানতে চাওয়ার পর উনি ইস্তাফা দিয়ে ছুটি নিয়ে চলে গিয়েছেন। এর থেকে বেশী কিছু নয়।” এদিকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় গুরুচরণ বাবুর এভাবে ইস্তাফা দিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই তাঁকে ফিরিয়ে আনার পক্ষেও সরব হয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584