সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
২০০৯ সালের আইলার দুস্বপ্নের কথা আজও ভুলতে পারেনা সুন্দরবনের দ্বীপবাসি। আইলা,লাইলা,হুদহুদের মতো ঝড় কেড়ে নিয়েছিল বসত বাড়ি ,নষ্ট করেছিল চাষের জমি।
ভাঙা বাঁধের নোনা জলের মধ্যে আজও দিন কাটাতে হয় নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামবাসীদের।গ্রামের পূর্ব দক্ষিন বরাবরি রয়েছে বঙ্গোপসাগর।যার গর্জন ভরা নোনা জলে ঢেলে ধ্বংস করেছে গোটা লক্ষ্মীপুরকে।যেটেকু অস্তিত্ত রয়েছে তার অবস্থা বেহাল।কোথাও বড় বড় বাঁধের গর্ত আবার কোথাও বা হেলানো গাছের দৃশ্য।যে টুকু বাড়ি রয়েছে তা আবার হার বের করানো ভগ্নপ্রায়।
সেখানেই ত্রিপল খর কুটি টালি দিয়ে বসত গড়েছেন অনেকে।লক্ষ্মীপুর গ্রামে আট থেকে নয়শত মানুষের বাস।মৎস শিকার এই এলাকার মানুষদের মূল জীবিকা।আইলায় এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ করলেও ২০১৭ সাল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে ক্ষতির মুখে পরে এলাকার বহু মানুষ।আজও ভেঙে পড়া বাঁধের রাস্তার উপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করেন।প্রত্যাশার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজও বাঁধের কাজ করতে সক্ষম হয়নি বাম থেকে শাসক শিবির।হাতি কর্নার ও দাস কর্নার পয়েন্টে প্রায় ১৪০০ মিটার বাঁধ ভাঙা।তার জেরে কোটালে প্রবেশ করে নোনা জল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সসেশ বাঁধ নির্মান করার কথা থাকলেও।আজও কংক্রিটের বাঁধ মেলা দায় হয়ে পরেছে এলাকাবাসির মধ্যে।হাতি কর্নারে কাজ হলেও, আজও লক্ষ্মীপুরের দাসকর্নারে নেই কোন কাজের চিহ্ন।তাই প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসি।
কোটালের জলে প্লাবিত হয় চাষের জমি।লক্ষ্মীপুর ভাঙতে থাকায় বকখালির পশ্চিমাংশ ভাঙবে বলে অনেকের দাবি।তাই আতঙ্কে রয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুনঃ বাঘরোলকে বাঘ ভেবে আতঙ্কিত গঙ্গারামপুর
লোকসভা নির্বাচন দোর গড়াই।প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নামখানার মন্ডল সভাপতি।শুধু বিজেপি নয় বাম ডান সব পক্ষই পরবে ক্ষোভের মুখে।ভোটের আগেও সমস্যার সমাধানের পথ না মেলায় দুশ্চিন্তায় আছেন এলাকাবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584