সিউড়ি মহিলা থানার সামনের হোটেলেই রমরমিয়ে দেহব্যবসা

0
120

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

ফের দেহ ব্যবসার অভিযোগ সিউড়িতে। এবার আর কোন বাড়িতে নয়,হোটেলের মধ্যেই অল্প বয়সী কলেজ পড়ুয়াদের নিয়েই চলছে দেহ ব্যবসার আসর।ঠিক মহিলা থানার সামনে।

দিন কয়েক আগেই সিউড়ি থানার অন্তর্গত হাটজনবাজারে মধুচক্রের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল ১২ জন পুরুষ ও মহিলাকে।তখন অভিযোগ ছিল গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে, কারণ তার নিজের বাড়িতেই এই কাজ করছিলেন তিনি।প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলারা তার বাড়ি গিয়ে দেহব্যবসা করছিল,এমনটাই ছিল অভিযোগ।পনেরো দিন পেরোতে না পেরোতেই ফের মধুচক্রের হদিস সিউড়িতে।এবার মধুচক্রের হদিস সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহিলা থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একটি বেসরকারি হোটেলে।এখানে মধুচক্রের আসর বসায় প্রাপ্তবয়স্করা নয়,কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা কখনো কখনো নাবালিকারাও এখানে আসে দেহব্যবসা করতে,এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছে এলাকার বাসিন্দারা।

দেহ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত।নিজস্ব চিত্র

তাদের দাবি পুলিশকে বহুবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি,পুলিশ আসে হোটেলে ঢোকে আবার চলে যায়,কাজের কাজ কিছুই হয় না।এটা তো হলো ওফ সিজিন, যখন কোন অনুষ্ঠান চলে পুজো হোক বা ঈদ তখন অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা ঠিক যেন পার্ক বা রেস্তোরাঁর মতো ভিড় জমায় এই হোটেলগুলিতে।খুবই কম পয়সায় এক ঘন্টা থেকে দু’ঘণ্টা জন্য ভাড়া দেওয়া হয় এই হোটেলগুলি।পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বহুবার উঠেছে,এরপর হোটেল ভাঙচুরের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা,নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। অতর্কিতে হোটেলে গিয়ে হানা দিতে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ,অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়ে যায় সাতজন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ।এদের বেশির ভাগই অল্পবয়সী এবং কলেজ পড়ুয়া। তাদের সবাইকেই আটক করে নিয়ে আসে সিউড়ি থানার পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয় হোটেল,আটক করা হয় হোটেলের দুই কর্মীকে। সূত্রের খবর তাদেরকে জেরা করেই এর মূল চক্রের হদিশ খুঁজতে পুলিশ।

মহিলা থানা থেকে ঢিঁলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত হওয়া এই হোটেল কিভাবে দিনের পর দিন অসাধু কারবার এবং দেহব্যাবসা চলছে ,পুলিশ প্রশাসন কিছুই জানে না?নাকি সব জেনেও না জানার ভান?প্রশ্নটা তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বিদ্যাসাগর কলেজ এর মত একটি নামকরা কলেজের প্রধান রাস্তা এটা ।সেই রাস্তার ওপর যদি এইভাবে দেহ ব্যবসার কারবার চলে তাহলে ছাত্রছাত্রীরা তো নষ্ট হবেই। সাথে সাথে আমাদের পাড়ারও বদনাম হচ্ছে ,এখানে সাধারণ মানুষ দাঁড়াতে পারে না পাছে কেউ সন্দেহ না করতে লাগে।অবিলম্বে ওই দুটি হোটেল একবারে বন্ধ করার দাবী জানিয়ে জেলা শাসকের কাছে দরবার করবে বলে জানিয়ছে স্থনীয় মানুষ জন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here