মারুফা খাতুন, কলকাতাঃ
পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন এখনও যে শান্তিপ্রিয় তা আবারও প্রমাণিত হল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় কলকাতার নাগরিক সমাজ দাবি করল দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মালদা জেলার কালিয়াচক এলাকার ঠিকা শ্রমিক আফরাজুলকে নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দায় ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রতিবাদ ।
আজ শুক্রবার বিকেলে ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক প্রাবন্ধিক ইমানুল হকের ডাকে সংস্কৃতি কর্মীরা সামিল হন। আকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে ও একে অপরের হাতে জ্বলন্ত প্রদীপ দিয়ে সম্প্রীতির আলোয় আলোকিত হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে হেদুয়া পার্কের কাছেও একটি প্রতিবাদ সভা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদা জেলার অধিবাসী ‘মোহম্মদ আফরজুল শেখ’ নামক জনৈক মজদুর রাজস্থানের রাজসমন্দে নিজের পরিবারকে নিয়ে থাকতেন এবং মজদুরি করে দিনযাপন করতেন। হত্যাকারী ‘শম্ভুলাল রেগর’ তাকে কাজ দেওয়ার বাহানায় নিয়ে এসে নির্মমভাবে হত্যা করে।পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা ওই শ্রমিক কর্মসূত্রে রাজস্থানে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ঠিকা শ্রমিক আফরাজুলকে প্রথমে তাড়া করে শম্ভুলাল। তারপর তাঁকে দা দিয়ে কোপায় সে। প্রাণভিক্ষা করেও কোনও লাভ হয় না আফরাজুলের। একসময়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মাটিতে ফেলে রেখে শম্ভু ভিডিওয় হুমকি দেয়, লাভ জেহাদের পরিণাম এমনই হবে। হুঁশিয়ারি দেয়, কথা না শুনলে এইভাবেই খুন করা হবে। এরপরই আফরাজুলের শরীরে অগ্নিসংযোগ করে শম্ভু। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশে মানুষের প্রতিবাদ। শুধু মুখ বুঁজে আছে বিজেপি। কলকাতা সফররত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং কে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাজনৈতিক বিষয় বলে এড়িয়ে যান। এতেই সরকারের নিরব সহমত আছে বলে অভিযোগ। সরকার যদি কড়া হাতে হত্যালীলা বন্ধে ব্যবস্থা না নেই তবে আগামী দিনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। ইমানুল হকের অভিযোগ, শুধু মাত্র ভোটের জন্য দেশে দাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি ও সংঘের লোকজন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584