শ্যামল রায়,কালনাঃ
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে খরিফ মরশুমে ধান ক্রয়ের প্রচার অভিযান এবং ধান কেনার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেও চাষিরা প্রকৃত অর্থে দাম পাবেন কিনা এরকম একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।ইতিমধ্যে ধানের দর মিলছে না অবিলম্বে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। কালনায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। শুধু ধান কেনার ব্যাপারে নয় জল সরবরাহে ছুটি থাকায় ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে এর দাবিতে কংগ্রেসের তরফ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে কালনা মহকুমা শাসক কে ।মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ মন্ডল জানিয়ে দিয়েছেন যে সামনেই আলু চাষের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। তাই জলের সমস্যা না থাকে সেই জন্য কৃষি দপ্তর কে সজাগ থাকতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তর এর নানাবিধও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চাষীদের সাথে কংগ্রেস দলের নেতা-নেত্রীরা।
ইতিমধ্যেই চাষিরা জমি থেকে ধান কাটার পর্ব শুরু করলেও প্রশ্ন তুলেছেন ধানের দাম মিলবে তো?
ধান জমি থেকে তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু লাভজনক দর মিলছে না এমনই অভিযোগ চাষীদের।অভিযোগ যে সমবায় সমিতিগুলোর মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জোড় দিক সরকার না হলে বিপাকে পড়বেন, তারা খাদ্য দপ্তরের দাবি ধান কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।তাই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার বিষয়ে একটা বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায়।চাষিরা জানিয়েছেন যে নতুন পুরনো কোন ধানে আগ্রহ নেই এদের সব থেকে বড় কথা গ্রামগঞ্জে ধান কেনার জন্য কারও দেখাই মিলছে না। চাষিরা বলছেন “সার কীটনাশক সব মিলিয়ে ধান চাষের খরচ বেড়েই চলছে কিন্তু প্রকৃত অর্থে দর পাচ্ছি না আমরা তাদের দাবি গতবারের ধান এখনও বিক্রি হয়নি এমনকি গোলা ভর্তি রয়েছে বাড়িতে বাড়িতে।”
চাষিরা দাবি করেছেন যে পুরনো ধান থাকায় নতুন ধান উঠে পড়েছে তাই বিক্রি কি ভাবে করবেন বা দাম কিভাবে পাবেন এই নিয়ে একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তারা।অথচ মহাকুমা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি ধানের সহায়ক মূল্য ১৭৫০টাকা। যারা কিষান মান্ডিতে এসে ধান বিক্রি করবেন তারা আরও কুড়ি টাকা বেশি পাবেন। গত বছর চাষিরা ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত সহায়ক উল্টো ধান বিক্রি করতে পেরেছিলেন তবে এবার এখনো সে ব্যাপারে কোন নির্দেশিকা আসেনি সরকারের কাছ থেকে চাষিদের কাছে তাই একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন চাষীরা।মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ বেজ জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত মহকুমায় দুই হাজার চাষি নিজেদের পরিচয় পত্র পাস বইয়ের ফটোকপি ও দুটি ছবি দিয়ে ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছেন। চাষিরা ধান নিয়ে এলেই কেনা হবে। পরে পঞ্চায়েত এলাকায় সমবায়েও ধান কেনা হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584