পূর্বস্থলী এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির  এলাকাতে উন্নয়নের জন্যই মানুষ ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে

0
97

শ্যামল রায় বর্ধমান:
পূর্বস্থলী দক্ষিন বিধানসভার অন্তর্গত পূর্বস্থলী এক নম্বর পঞ্চায়েত  সমিতি যেমন রয়েছে তেমনি কালনা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির 2টি গ্রাম  পঞ্চায়েত ও পূর্বস্থলী 2 নম্বর ব্লকের মধ্যে রয়েছে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত  মোট এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত পূর্বস্থলী 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে এটা বিরোধীরাও স্বীকার করে নিচ্ছেন।এলাকায় তাঁত শিল্পীদের বসবাস সবথেকে বেশি তবুও রয়েছে কৃষিপ্রধান এলাকা কৃষিজীবী মানুষ।পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত রয়েছে সাতটি গ্রাম  পঞ্চায়েত।ভোটের ঘণ্টা বেজে উঠতেই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। সেই সাথে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী হেমাতপুর তৃণমূল কংগ্রেস কার্য্যালয় সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে উপস্থিত থেকে ভোট নিয়ে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক কর্মী সমর্থকদের।শনিবার হেমাতপুর অফিসে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নেতৃত্ব দেন নিয়ে বৈঠকের পর  বৈঠক সারেন।সমিতির এলাকায় শ্রীরামপুর গ্রামের তাঁত শিল্পীদের জন্য কাজ চলছে সাত কোটি তেতিরিশ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান হাট। জোরকদমে কাজ চলছে । দ্বিতল বিল্ডিং এর কাজ প্রায় শেষের মুখে।আরবান হাট থেকে তাঁতিরা সমস্তরকম তাতে সরঞ্জাম পেয়ে যাবেন সুলভ মূল্যে। এখানেই তৈরি হয়েছে তন্তুজ ভবন। এখানেই তৈরি হয়েছে মৎস্য দফতরের উদ্যোগে গেস্ট হাউজ। মজে যাওয়া বুড়িগঙ্গা নদী সংস্কার করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় লক্ষ্য মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন ঘটানো।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর কথা যে বাম আমলে মুখ থুবড়ে পড়া তাঁতশিল্পকে বাঁচাতেই তার প্রধান কাজ ছিল। আজ তন্তু এলাকায় শ্রীরামপুর গ্রামের তাঁত শিল্পীদের জন্য কাজ চলছে সাত কোটি তেতিরিশ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান হাট। জোরকদমে কাজ চলছে । দ্বিতল বিল্ডিং এর কাজ প্রায় শেষের মুখে।আরবান হাট থেকে তাঁতিরা সমস্তরকম তাতে সরঞ্জাম পেয়ে যাবেন সুলভ মূল্যে। এখানেই তৈরি হয়েছে তন্তুজ ভবন। এখানেই তৈরি হয়েছে মৎস্য দফতরের উদ্যোগে গেস্ট হাউজ। মজে যাওয়া বুড়িগঙ্গা নদী সংস্কার করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় লক্ষ্য মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন ঘটানো।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর কথা যে বাম আমলে মুখ থুবড়ে পড়া তাঁতশিল্পকে বাঁচাতেই তার প্রধান কাজ ছিল। আজ তন্তুজ লাভের মুখ দেখছে তাঁতশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে বলে দাবি মন্ত্রীর।শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বক্ষণের নেতা পরিমল দেবনাথ জানিয়ে দিলেন যে বিরোধী-শূন্য পঞ্চায়েত সমিতি গড়ার ডাক দিয়েছেন তারা।পরিমল দেবনাথের একটা সুস্পষ্ট বক্তব্য যে যে হারে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ হয়েছে এবং এখনো চলছে তার ধারেকাছে বিরোধীরা পৌঁছাতে পারবে না। বিরোধীদের কিছু বলার নেই ভোটারদের কাছে।বিরোধীরা যতই মিথ্যা অপপ্রচার স্বজনপোষণ দুর্নীতির ইস্যু তুলে প্রচারে নামক মানুষ তা গ্রহণ করবে না বলেই বিশ্বাস করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ হচ্ছে এলাকার ভোটারদের কাছে প্রধান হাতিয়ার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিম্বল এর কাছে বিরোধীরা ঝড়ের মতো উড়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরসিমবল মানুষের কাছে আদর্শের প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক মা-মাটি-মানুষের বাংলার পথিক।রাস্তাঘাট পানীয় জল থেকে শুরু করে একাধিক উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে এই পঞ্চায়েত সমিতির সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই।জানা গিয়েছে যে তাঁত শিল্পীদের জন্য একাধিক উন্নয়নমুখী কাজ করেছেন বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। তাই মন্ত্রীর প্রতি যথেষ্ট আস্থা ও ভরসা রেখেছেন তাঁতশিল্পীরা।
নাদানঘাট a পড়ুয়াদের জন্য তৈরি হয়েছে আবাসিক হোস্টেল ।এছাড়াও প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে দেয়া হয়েছে পাট্টা। পর্যটন দপ্তরের আর্থিক অনুদানে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এলাকার বিভিন্ন মন্দির মসজিদের সংস্কারে।তাই উন্নয়নের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে পূর্বস্থলী এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি।
এছাড়াও ভোটারদের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক একজন দক্ষ প্রশাসক বলে প্রচলিত কথা ছড়িয়ে রয়েছে গ্রামে গ্রামে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের নানান ধরনের নিয়ম-কানুনে পারদর্শী কাজ পাগল মানুষ দিলীপ মল্লিকের গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট রয়েছে ভোটারদের কাছে। তার উদ্যোগে এবং প্রচেষ্টায় যেভাবে এলাকার উন্নয়ন হয়েছে সেখানেই বিরোধীরা আদৌ কিছু করতে পারবে কিনা প্রশ্ন এখানেই রয়েছে। উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় এই সমিতির সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এই সেই কাজ হয়েছে।কয়েকশো কিলোমিটার ঢালাই রাস্তার কাজ হয়েছে পিচের রাস্তা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পে গড়ে উঠেছে কিষাণ মান্ডি আই টি আই কলেজ আনন্দধারা ও মুক্তধারা প্রকল্পে এক হাজারের বেশি পুরুষ ও মহিলাকে স্বয়ংবর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।পথের সাথী তৈরি হয়েছে। তাই উন্নয়ন এর কাছে বিরোধী কোনো প্রার্থী আদৌ দাঁড়াতে সাহস পাবে কিনা গ্রামের মানুষ আড়ালে আবডালে বলেই ফেলেছেন।তবুও বিরোধী শক্তি বলতে বিজেপি ও সিপিআইএম। সিপিআইএমের কোন কার্যকলাপ সেরকম একটা জোরালো ভাবে চোখে না পড়লেও মাঝেমধ্যে বিজেপির নানান ধরনের কর্মসূচি মানুষ দেখতে পাচ্ছে। তাই এলাকায় বিজেপির কিছুটা বিরোধী শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেও পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব পড়বে না বলে অনেকেই বলছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here