নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় ৪ জনের। তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ওইদিন মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আজ প্রকাশ্যে আসায় উঠে এলো আরো একগুচ্ছ প্রশ্ন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ মৃত হামিদুল মিঞার পিঠে গুলি লেগেছিল। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়ে থাকে তাহলে পিঠে গুলি লাগে কিভাবে!
সেদিনের গুলিচালনায় নিহত সামিউল মিঞার মাথায় রয়েছে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন, সঙ্গে শরীরে পাওয়া গিয়েছে স্প্লিন্টারের ক্ষত। সেটিও বড় প্রশ্নচিহ্ন। আলম মিঞা ও মঈনুদ্দিন মিঞার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে তাঁদের গুলি লেগেছিল বুকে তবে গুলি চালানো হয়েছে ১০ মিটার দূরত্ব থেকে। ১০ মিটার দূর থেকে বাহিনী গুলি চালালে তা নিয়ম অনুযায়ী পা লক্ষ্য করে চালানোর কথা কিন্তু এক্ষেত্রে গুলি বুকে লাগলো কিভাবে সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে লখনৌ সহ উত্তরপ্রদেশের পাঁচ শহরে সাময়িক লকডাউনের নির্দেশ
সিআরপিএফ জানিয়েছিল ওইদিন গ্রামে কেউ গুজব রটায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে গুলি চালিয়েছে তা শুনেই গ্রামবাসীরা হাতা খুন্তি , লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন করে তাদের, তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় তারা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে সেযুক্তি খুব একটা ধোপে টিকছে না।
আরও পড়ুনঃ সামসেরগঞ্জ বিধানসভায় ভোট ১৩ মে, জানাল নির্বাচন কমিশন
স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি বিরোধী দলগুলোর অভিযোগের তীর আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেই। তাঁদের প্রশ্ন আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে সে গুলি পিঠে লাগে কি করে! এছাড়া সামিউলের মাথায় ভারী বস্তুর আঘাত এবং শরীরে স্প্লিন্টারের ক্ষত, সব মিলিয়ে সেদিন ঠিক কি হয়েছিল সে বিষয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584