নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
ভোটের দামামা বেজেছে। ঘোষণা সম্পন্ন কবে, কোথায় ভোট তার তালিকা। ভোটের হাওয়ায় মাতোয়ারা টলিপাড়াও। অভিনয়কে পাশে রেখে অধিকাংশই নানা রঙে আজ রঙিন। না, এই রং পবিত্র দোল উৎসবের নয়। এই রং হল রাজনৈতিক রং। বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা, বাদ নেই কেউ। কেউ আনকোরা, কেউ বা বদলে ফেলেছেন রং। বলতে দ্বিধা নেই, কেউ আবার যেখানে ছিলেন সেখানেই রয়ে গেলেন, পারলেন না নিজেদের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দলে ভিড়তে।
রুদ্রনীল শাসক শিবির ছেড়ে গেলেন পদ্মফুলে, সায়নী ঘোষ বাম ছেড়ে গেলেন জোড়াফুলে, পিয়া সেনগুপ্ত এবং কৌশানি হাতে নিলেন শাসক দলের পতাকা, যশ দাশগুপ্ত গেলেন পদ্মফুলে, কৌশিক রায়ও পদ্ম শিবিরে, মানালি গেলেন শাসক দলে, রাজ চক্রবর্তী শাসক দলে, সঙ্গীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন পদ্ম শিবিরে, সৌরভ দাস গেলেন জোড়া ফুলে। সুদেষ্ণা রায় যোগ দিলেন শাসক দলে। তৃণমূলে নাম লেখালেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, রনিতা দাস, দিশা রায়চৌধুরী। এভাবেই চলছে দলবদলের খেলা আর দলে যোগদানের পালা।
আরও পড়ুনঃ উদ্বোধনের দশ দিনের মাথায় যান্ত্রিক গোলযোগে থমকে গেল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো
এখন প্রশ্ন হল, গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রতিনিধিদের রাজনীতিতে যোগদান নতুন কথা নয়। নানা সময়ে অনেককেই দেখা গিয়েছে রাজনীতির রঙে রঙিন হতে। নিজস্ব পছন্দের দলের হয়ে স্লোগান তোলার মধ্যে অন্যায় তো কিছু নেই। কিন্তু কথা হল, ঝাঁকে ঝাঁকে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এই লকডাউনের পরেই বেশি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ একুশের বাংলা নির্বাচনে মহিলা ভোট গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর
আজ একজন এই দলে তো কাল আরেকজন ওই দলে। আর তা নিয়ে কাঁপছে নেট দুনিয়া। প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে, তা হলে কি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাজের সুযোগ কমে যাচ্ছে? তাই তাঁরা রাজনীতিতে? এর উত্তর যাঁদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তাঁরাই ভাল দিতে পারবেন। কেউ বা বলছেন মানুষের জন্য কাজ করতে দল বদলানো।
মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে কি দলের ছত্রছায়ার দরকার হয়? এমন প্রশ্নের ঝড়ও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসব তর্কের প্রশ্ন। সেই পথে না হেঁটে এটাই দেখার পলিটিক্যাল ফ্লোর কতখানি সমৃদ্ধ হয় স্টুডিও পাড়ার প্রতিনিধিদের আণুকূল্যে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584