ভাস্কর ঘোষ, মুর্শিদাবাদ, ২৮ ডিসেম্বরঃ- বুধবার সকালে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিচারাধীন বন্দী আনারুল শেখ (৫০)।বড়ঞা থানার সোদপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। তাঁর মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলছেন মৃতের ভাগ্নে কুদ্দুস শেখ ও দিদি হাফিজা বিবি। তাঁদের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ আনারুল শেখকে খুন করেছে।
তাঁদের কথায়, জেল কর্তৃপক্ষ বড়ঞা থানায় খবর দেয়। বড়ঞা থানার পুলিশ আমাদের জানায়, আনারুল শেখের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে মারা গিয়েছে তা জানায়নি।তাদের দাবি তারা খবর পেয়ে সেখানে আসলেও রাত পর্যন্ত মৃতদেহের দেখতে পায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মৃতের ভাগ্নে কুদ্দুস শেখ বলেন, “বুধবার চারটের সময় আমাকে ফোন করে বলা হয় যে মামা কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে আবার বলা হয় জানালার গ্রিল থেকে গলায় দড়ি দিয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন, তাহলে সাড়ে এগারোটার সময় জেলের ভিতরে একজন বন্দী গলায় দড়ি দিল আর কারও তা চোখে পড়লনা? আবার একবার বলা হল কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়েছে, আবার পরে তা বলা হল গ্রিলে গলায় দড়ি দিয়েছে। দুবার দুরকম কথা বলার কারন কী? ”
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সোদপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনারুল শেখ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসে নিজের স্ত্রী আকালী বিবিকে খুন করে। তখন থেকেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক মাস কান্দি সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পঠানো হয়। আট মাস ধরে সেখানেই ছিলেন আনারুল বাবু।
তবে কারণ যাই হোক জেলের মধ্যে বন্দীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584