নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
বিদ্যাসাগরের সমসাময়িক রাজা কৃষ্ণনাথ রায়। স্বপ্ন দেখেছিলেন আধুনিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই মৃত্যুর আগে উইল করে গিয়েছিলেন অগাধ সম্পত্তি। ২২বছরের সেই যুবক রাজার স্বপ্নকে বহু মানুষের সহায়তায় বাস্তবে রুপদান করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রানি স্বর্ণময়ী।সেই কলেজ আজ ১৬৬ বছর অতিক্রান্ত।
অক্টোবর,২০১৮ মুর্শিদাবাদ জেলার দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হল ‘দি মুর্শিদাবাদ ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০১৮’ যার মধ্যে বলা হল ‘কৃষ্ণনাথ কলেজ হবে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়’।অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে কৃষ্ণনাথ কলেজ হল অবলুপ্ত।
মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ কৃষ্ণনাথ কলেজের অবলুপ্তি মেনে নেয়নি। তারা গড়ে তুলেছে ‘কৃষ্ণনাথ কলেজ রক্ষা ও পৃথক পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপায়ণ কমিটি’। সেই কমিটির ডাকে আজ বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মদিবসে নেওয়া হয়েছিল পদযাত্রা ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি। দুপুরে জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হয়, দাবির সঙ্গে সহমত পোষন করে তিনি জানান, কৃষ্ণনাথ কলেজ রক্ষা ও পৃথক পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপায়ণ নিয়ে দ্রুত কথা বলবেন।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন
গোরাবাজারে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে পদযাত্রা শুরু হয় বৃষ্টির মধ্যেই। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে দাবি উঠে ‘কৃষ্ণনাথ কলেজের অস্তিত্ব রক্ষা করে জেলায় পৃথক পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপায়ণ করতে হবে।’ ভিজে ভিজে পদযাত্রায় হাঁটলেন টেক্সটাইল কলেজ পর্যন্ত। পদযাত্রায় ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ, প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যাপক শিক্ষক ডাক্তার উকিল ছাত্র-ছাত্রী সহ শতাধিক সাধারণ মানুষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584